বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের (Birbhum) নানুর এলাকায় এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। বশির শেখ নামে যুবকটির মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমানে দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে শাসক পক্ষ ছাড়ার কারণেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও অপরদিকে আবার মৃতের মাদকাসক্ত হওয়ার কারণটিও সামনে উঠে আসছে।
ঘটনাটি বীরভূম জেলার নানুরের সাঁতরা গ্রামের। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জেলাতে এহেন ঘটনায় বর্তমানে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়ে চলেছে।
ঘটনাটি কি? সূত্র মারফত খবর মিলছে যে, গতকাল বাড়ি ফিরছিলেন বশির শেখ। সেই সময় আচমকাই কয়েকজন মিলে তাকে মারধর শুরু করে। পরবর্তীতে জখম বশিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আর বাঁচানো যায়নি তাকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, অতীতে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কয়েক বছর পূর্বে শাসক পক্ষের সঙ্গ ত্যাগ করে সে। পরবর্তীতে দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় বশিরকে। এমনকি, তার নামে একাধিক মিথ্যে মামলাও করা হয়। তবুও দলের দিকে ফিরে তাকাননি বশির।
অভিযোগ, এই কারণেই গতকাল স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা রাজা এবং খেলোন শেখ নামে দুই ব্যক্তি বশিরকে মারধর করে এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগটি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।
যদিও এদিন আরও একটি সম্ভাবনার কথা ক্রমশ সামনে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, বেশ কয়েকদিন ধরেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে বশির। এমনকি, তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি করার পাশাপাশি চুরি করার অভিযোগ ওঠে। এমনকি, স্থানীয় সূত্রের খবর, পরিবারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হতে থাকে বশিরের। তবে এক্ষেত্রে তার মৃত্যুর পেছনে কি কারন রয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নাকি অন্য কোনো ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে তার মৃত্যুর পেছনে, সেই দিকটি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।