কমবে খরচ! পেট্রোলের বিকল্প আবিষ্কার করে প্রাণ সংশয়, ভারতে শরণ চাইছেন মার্কিন বিজ্ঞানী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি একজন আমেরিকান নাগরিক নাকি পেট্রোলের (Petrol) বিকল্প (Alternative) খুঁজে পেয়েছেন। আর তারপর থেকেই রীতিমতো প্রাণ সংশয় ভুগছেন ওই ব্যক্তি। কিছুদিন আগেই বিজনেস ভিসাতে (Visa) ভারতে (India) এসেছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে তিনি থাকছেন কেরলে। কিন্তু পেট্রোলের বিকল্প খুঁজে বের করার পর থেকে তিনি প্রাণহানির আশঙ্কায় রয়েছেন।

তাই ভারতে আশ্রয় দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের মামলা করেছেন ওই ব্যক্তি। আসলে আগামী ১৪ই জুন শেষ হয়ে যাচ্ছে তাঁর ভিসার মেয়াদ। তাই আদালতের কাছে সুরক্ষা কবজ চাওয়ার পাশাপাশি ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এবার ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই  ভারত সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

   

নিজেকে আমেরিকান বলে দাবি করা ওই ব্যক্তির মামলা সামনে আসার পর, সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার অবসরকালীন বেঞ্চ এই মামলাটি আবার শুনবে। তবে শীর্ষ আদালত এই মামলাটি আবার হাইকোর্টে পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ এইভাবে ব্যক্তিগত স্তরে আর্জি জানানো পর একজনের আবেদন গ্রহণ করলে বাকিরাও যে সেই রাস্তায় হাঁটবেন না সেই প্রসঙ্গও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে খুলে যেতে পারে ফ্লড গেট।

আরও পড়ুন: IIT খড়গপুরের মুকুটে নতুন পালক! বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাক্কায় এগিয়ে গেল ৪৯ ধাপ, দেশে চতুর্থ

কিন্তু প্রশ্ন হল কে সেই ব্যক্তি? জানা যাচ্ছে ওই মামলাকারী ব্যক্তির নাম ক্লড ডেভিড কনভিসার। বিজনেস ভিসায় ভারতে আসার পর আপাতত কেরলেই থাকছেন তিনি। আদালতের কাছে সুরক্ষা কবচ চেয়ে তিনি জানিয়েছেন তিনি নাকি হিন্দুধর্ম পালন করেন। শুধু তাই নয়, তিনি নাকি অমৃতানন্দময়ী মায়ের শিষ্য। ওই ব্যক্তির কথায়, ‘আমি এই দেশ ছাড়তে বাধ্য। আমি এই দেশের বিশ্বাস মেনে চলি। আমি আমার গুরু অমৃতানন্দময়ী মায়ের অধীনেই থাকতে চাই।’

petrol

নিজেকে আমেরিকার নাগরিক দাবি করে ওই ব্যক্তি বলেছেন প্রতিটি সরকার  নিজের নাগরিকদের রক্ষা করার মতো বলিষ্ঠ হয় । তবে তার ওই সাওয়ালের জবাবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয় যে এই বিষয়টা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। আমরা যদি এরকম পিটিশন শুনি, তাহলে ফ্লাডগেট খুলে যাবে।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর