ভারতে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ কেন হচ্ছে তার একটা উদাহরণ মহারাষ্ট্র নির্বাচনের সময় দেখা মিলল। যা এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ১০২ বছর বয়সী বৃদ্ধ তার ২৭০ সদস্য যুক্ত পরিবারের সাথে ভোট দিতে ভাদগাঁও-শেরি আসনে পৌঁছে ছিলেন। হাজী ইব্রাহিম আলিম জোয়াদ ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১০২ বছর পেরিয়ে গেছেন এবং এখনও শক্তিশালী। ৪৫ বছর বয়সী নাতি তানভীর জোড জানিয়েছেন যে, তাঁর ১২ পুত্রের মধ্যে ১০ পুত্র, দুই কন্যা এবং ৪৫ জন নাতি-নাতনি রয়েছে।
হাজী ইব্রাহিম জোয়াড হৃদরোগজনিত অসুস্থতার বিষয়ে জাহাঙ্গীর হাসপাতালে গত চার দিন অতিবাহিত করেছেন। চিকিত্সকরা তাকে ফিট হিসাবে ঘোষণা করেছেন এবং সোমবার বিকেলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তানভীর জোয়াদ বলেন যে তিনি তার ভোট দেওয়ার জন্য আগ্রহী এবং পরিবারের সকল সদস্যরা তাদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাজী জোড দুপুর ২ টার দিকে হুইল চেয়ারে করে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন।
তানভীর জোদ বলেছিলেন, “পরিবারের ২৭০ জন লোক যারা ভোটার, তারা আজ ভোট দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭২ জন লোক রয়েছে যারা আমার দাদুর সাথে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছিল। বাকী লোকেরা পার্শ্ববর্তী ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকারের ব্যাবহার করে ভোট প্রদান করেন। মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের এমন ঘটনা সামনে আসার পর অনেকে হাজী ইব্রাহিমের মতো লোকজনকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের জন্য দায়ী করে দিয়েছেন। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা না ভেবে এইভাবে কট্টরতার সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে অনেকে দেশ বিরোধিতা বলেও মান্যতা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে হাজী ইব্রাহিম ও তার পরিবারের ভোট দান এক বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।