২১ শে জুলাইয়ের আগে বঙ্গে যোগীরাজ্যের ছায়া! ভর সন্ধ্যায় শ্যুট আউটে মৃত ১ আসামি

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ শহর কলকাতা জুড়ে যখন একদিকে ২১ শে জুলাই নিয়ে একটা হুলুস্থুল অবস্থা তখন শহরের বুকে প্রকাশ্য সন্ধ্যায় চললো গুলি। আর একবার, দুইবার নয়, ঠিক গুনে গুনে ১২ রাউন্ড গুলি চলেছে দমদম এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায়। নারায়ণপুরে সন্ধ্যা ছটা পঞ্চাশ মিনিটে এলাকার বাসিন্দা দেবজ্যোতি ঘোষ নিজের বাচ্চাকে দেখে থানায় আসছিলেন। সেই সময়ই তার গাড়িকে আটকে গুলি চালানো হয়।

এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চার্নক হাসপাতালে এবং সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে পুরো ঘটনা এতটুকু নয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ যে শাসক দল ঘনিষ্ঠ দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে বিভেদের ফল এই ঘটনা। যিনি মারা গিয়েছেন এবং যারা তাকে মেরেছে উভয়েই তৃণমূল কংগ্রেস খনিষ্ঠ বলে দাবি করা হচ্ছে এলাকাবাসীর তরফ থেকে।

যিনি মারা গেছেন, অর্থাৎ দেবজ্যোতি ঘোষ, তার নামে বেশ কয়েকটি খুন ও আরও নানান অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। গত দুবছর ধরে তিনি দমদম জেলে বন্দী ছিলেন। জানা গিয়েছে তিনি যাবজ্জীবনের আসামী। বাচ্চা হওয়ার খুশিতে গত ১৫ ই জুন তিনি প্যারোলে ছাড়া পেয়েছেন। আজ সন্ধ্যেবেলায় তিনি থানায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন জামিনের শর্ত অনুযায়ী। তখনই তার সাথে ঘটে এই ঘটনা।

পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে চারটি গুলি উদ্ধার করেছে। আইন শৃঙ্খলার কতটা অবনতি হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ভর সন্ধ্যাবেলায়, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে আতঙ্ক বৃদ্ধি করছে সাধারণ মানুষের মনে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

কিছুদিন আগে যোগী রাজ্যে ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছিল। সেবার সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা আজাদ সমাজ পার্টির জাতীয় সভাপতি এবং ভীম আর্মি নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের কনভয়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু গুলি চালানোর সময় হামলাকারীদের গুলি চন্দ্রশেখরের ভাইটালস ছুঁতে পারেনি বলে বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এর আগে যোগী আদিত্যনাথ যখন উত্তরপ্রদেশে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন, তখন বেশকিছু অপরাধীদের এনকাউন্টারে মারা হয়। তখন অনেকেই সেই ঘটনার সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু বাংলায় কাছ থেকে আলাদা হচ্ছে কোথায়!

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর