[wpcode id="578497"]

ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বর্ধমানের ব্যক্তির, মানতে নারাজ কলকাতার হাসপাতাল!

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খাস কলকাতায় (Kolkata) ব্রুসোলোসিসে (Brucellosis) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বর্ধমানের (Bardhaman) বাসিন্দা বছর ৫৩ এর এক ব্যাক্তির। পেট খারাপ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিঁনি, এরপরই পরীক্ষা করতে ধরা পরে ব্রুসোলোসিস। শনিবার ট্রপিক‌্যালে (Tropical) মৃত্যু হয় তাঁর।

আরও কী জানা যাচ্ছে? দুর্গাপুজোর একাদশীর দিন আচমকা পেট খারাপ শুরু হয় মৃত ওই ব্যক্তির। প্রাথমিক অবস্থায় ডায়রিয়া ভেবে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে, তবে পাঁচদিন পর ডায়রিয়া কমলেও হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের পাতা মারাত্মক জ্বলুনি ও ব‌্যাথা শুরু হয়। এরপরই তড়িঘড়ি বর্ধমান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর পরই পরীক্ষায় ধরা পড়ে ব্রুসোলোসিস। বেসরকারি হাসপাতালের খরচা সামলাতে না পেরে সেখান থেকে ফের বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে ততক্ষণে শারীরিক অবস্থার অনেকটাই অবনতি হয় তাঁর। শেষে গত ৩০ নভেম্বর তাঁকে ভর্তি করা হয় ট্রপিক‌্যালে। সেখানে ভর্তির প্রথম থেকেই জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল রোগীকে। তিনদিন আগে তাঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, পেশায় মৃত শরবিন্দু ঘোষ গবাদি পশু পালক ছিলেন। তাঁর ছেলে সুজয় জানায়, তাঁদের বাড়িতে চারটি বড় গরু এবং তিনটি বাছুর রয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বাছুরের পা ফুলে গিয়েছিল। তারপর তাকে ভ‌্যাকসিন দেওয়া হয়। সেই সময় সম্ভবত রোগ সংক্রমিত হয়। যদিও বর্তমানে বাছুর সুস্থ রয়েছে। সবকটি গবাদি পশুকে ব্রুসোলিসেসের ভ‌্যাকসিনও দেওয়া হয়েছিল।

brucellosis

অন্যদিকে, ট্রপিক‌্যালের শীর্ষস্তর তরফে জানানো হয়েছে, রোগীর ব্রুসোলিসিস পজিটিভ কি না, তা যাচাই করতে তিনবার পরীক্ষা হয়। এবং প্রতিবারই নেগেটিভ রির্পোট আসে। সেইমত, মৃতের ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে রিউম‌্যাটিক আর্থারাইটিস। উল্লেখ নেই ব্রুসোলোসিসের । তবে মৃতের ছেলের দাবি, ‘‘বাবার ব্রুসোলোসিসেই মৃত্যু হয়েছে।’’

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X