বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিভিন্ন সময় বিকৃত কামনার অভিযোগ ওঠে বিশ্বের নানা প্রান্তে। কিন্তু সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে যে ঘটনা ঘটে গেছে তা শুনলে অনেকেই অবাক হয়ে যাবেন। অভিযোগ উঠেছে যে মাঝবয়সী এক ব্যক্তি রাস্তার কুকুরকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চালিয়েছেন শারীরিক অত্যাচার। জোর করে ধর্ষণ করেছেন কুকুরটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে। অভিযুক্তের নাম গোপাল দাস। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গোপাল দাস শিলিগুড়ির ফকদই এলাকার বাসিন্দা। তিনি সোফা তৈরীর কাজ করেন। স্বল্পভাষী ও ভালো মানুষ বলে এলাকায় সুনাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু তার বিরুদ্ধেই অবলা জীবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীও রয়েছেন কয়েকজন। স্থানীয় সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, কালীপুজো উপলক্ষে শনিবার রাতে গোপাল দাসের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গিয়েছিলেন অন্যত্র। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে গোপাল দাস রাস্তার একটি কুকুরকে ধরে নিয়ে আসেন। এরপর জোর করে তাকে ধর্ষণ করেন তিনি।
কুকুরটির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশী রিতা দাস, গোপাল ভৌমিক সহ অন্যান্যরা। তারা এসে দেখেন একটি রাস্তার কুকুরের সাথে জোর করে সঙ্গম করছেন গোপাল দাস। এই অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে যান প্রতিবেশীরা। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চম্পট দেন গোপাল দাস। এরপর স্থানীয়রা খবর দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। তারা এসে কুকুরটিকে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
গোপাল দাসের নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তকে এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে গোপাল দাসকে জেরা করতে গিয়ে অবাক হয়ে যায় পুলিশও। জেরায় গোপাল দাস স্বীকার করেন, এর আগে তিনি নাকি ধর্ষণ করেছেন ছাগল, ভেড়া, গরুকেও! এই খবরটি প্রকাশ আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রতিবেশীরা গোপাল দাসের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।