বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বক্ষণই কিছু না কিছু ভাইরাল (Viral) হতে থাকে। কখনো গান, কখনো নাচ, কখনো আবার অদ্ভূত কোনো প্রতিভা নজর কেড়ে নেয় নেটিজেনদের। তারপর সেসব ভিডিও শেয়ার হতে হতেই হয়ে যায় ভাইরাল (Viral)। রাতারাতি ‘স্টার’ হয়ে ওঠেন সেব ভিডিওতে থাকা মানুষজন। এমন উদাহরণ এখন রয়েছে ভূরি ভূরি। তাই নেট মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার স্বপ্ন থাকে অনেকেরই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) ভিডিও
যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা লম্বা সময় কাটান, তাদের নজরে পড়ে অনেক রকম ভিডিও। গ্রাম বাংলার অনেক অজানা প্রতিভাও উঠে আসে সমাজ মাধ্যমের পাতায়। যাদের কেউ চেনে না, তারাও নিজেদের প্রতিভা দেখানোর একটা মঞ্চ পেয়ে থাকেন। সম্প্রতি এমনি একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল (Viral) হয়েছে নেটপাড়ায়।
আরো পড়ুন : হওয়ারই ছিল ডিভোর্স! শুধুমাত্র এই কারণেই বিয়ে টিকিয়ে রাখেন অভিষেক-ঐশ্বর্য
বহুরূপীর মতো কবিতার ভিডিও ভাইরাল
‘বহুরূপী’ ছবিটি দেখেছেন নিশ্চয়ই। এবারের পুজোয় মুক্তি পাওয়া ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হিট হয়েছে শিবপ্রসাদ নন্দিতা জুটির ছবিটি। এই ছবির একটি কবিতা নেট মাধ্যমে বেশ ভাইরাল (Viral) হয়েছে। ছবির মুক্তির আগে প্রচারের সময়ও বহুরূপী সেজে বিভিন্ন তারকাদের বাড়ি গিয়ে এই কবিতাটি পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছিল শিবপ্রসাদকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা বলছেন, ‘এ তো বাস্তবের বহুরূপী!
আরো পড়ুন : মিঠুনের সঙ্গে বিয়েটা ‘দুঃস্বপ্ন’ বলেছিলেন! প্রয়াত মহাগুরুর প্রথম স্ত্রী, কে ছিলেন তিনি?
কবিতা শুনে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা
ভাইরাল (Viral) ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি মুখে বেশ রঙ মেখে মাথায় পরচুলা পরেছেন। তার পোশাক আশাকও বেশ অদ্ভূত। গ্রামের রাস্তায় দাঁড়িয়ে অদ্ভূত ছন্দ মিলিয়ে কবিতা বলছেন তিনি। কবিতার লেখাগুলিও বেশ অন্যরকম, মজার, অথচ যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ। ওই ব্যক্তির কবিতা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটজনতা।
একজন লিখেছেন, ‘কথার মধ্যে যুক্তি আছে’। আরেকজন লিখেছেন, ‘অনেক তত্ত্ব লুকিয়ে রয়েছে’। আরেকজন কবিতার কথা তুলে লিখেছেন, ‘খুব ভালো লাগল। ” যাদের বাড়ি কোলকাতা, পায়ে জুতো মাথায় ছাতা। আমার মনে হচ্ছে, গ্রাম বাংলার এই ছড়াটি অন্তত দু শতাব্দী প্রাচীন।’ আবার আরেকজন লিখেছেন, ‘কবিতার ছলে সমাজের অনেক বাস্তব সত্যি কথাগুলো বলে গেলেন, বিষয়পুরের এই চারনকবি।’ কিন্তু এই ব্যক্তি কে? কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, এনার বাড়ি বীরভূমের বিষয়পুর গ্রামে। আবার কেউ লিখেছেন, রাঢ় বাংলার বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, কান্দী এলাকার ‘হাবু গান’ এটা। অনেক মহিলাও নাকি বাড়ি বাড়ি এই গান গেয়ে চাল সংগ্রহ করেন। তবে এই ব্যক্তির বিষয়ে বিশদ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।