বাংলা হান্ট ডেস্ক: নাগ-নাগিনী এবং তাদের প্রতিশোধ, মূলত সিনেমাতেই এই ঘটনার প্রসঙ্গ বারংবার উপস্থাপিত হলেও বাস্তবের মাটিতেও ঠিক যেন সেইরকমই এক ঘটনা ঘটল। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই কার্যত অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলেই। মূলত, উত্তরপ্রদেশের রামপুর থেকে এই চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে।
যেখানে সঙ্গী সাপের হত্যার প্রতিশোধ নিতে আরেকটি সাপ এক ব্যক্তিকে ৭ বার কামড় বসায়। যদিও, সৌভাগ্যবশত প্রতিবারই বেঁচে যান তিনি। এই ঘটনা সামনে আসার পর হতবাক সকলেই। জানা গিয়েছে যে, রামপুর জেলার সোয়ার তহসিল এলাকার অন্তর্গত গ্রাম মির্জাপুরের বাসিন্দা এহসান ওরফে বাবলু একটি কৃষি খামারে কাজ করেন।
সাত মাস আগে তিনি দু’টি সাপের ( নাগ-নাগিন) মুখোমুখি হন। সেই সময়ে এহসান লাঠি দিয়ে একটি সাপকে মেরে ফেলেন এবং অন্যটি সাপটি পালিয়ে যায় সেখান থেকে। যদিও, সেই সাপটিই নাকি মৃত সাপটির প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন এহসান।
এক্কেবারে ফিল্মি কায়দায় ওই সাপ বেশ কয়েকবার এহসানকে সুযোগ পেলেই কামড় বসিয়ে দিলেও সময়মতো চিকিৎসা পাওয়ায় তিনি রক্ষাও পেয়ে যান। জানা গিয়েছে, সাপটি এহসান ওরফে বাবলুকে মোট সাতবার কামড়েছে। এদিকে, সাপের এই প্রতিশোধের ঘটনা শুনে সবাই স্তম্ভিত হলেও অন্যদিকে এহসান রীতিমত প্রাণনাশের আশঙ্কায় শঙ্কিত রয়েছেন। এমতাবস্থায়, সাপের আক্রমণের সময় এহসান নিজেকে বাঁচাতে লাঠিসোটা নিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও সাপটি নিজেকে বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হয় বলেও জানান তিনি।
সাপ আর এহসানের এই যুদ্ধে আসলে ভাগ্য যেন দু’জনকেই সমর্থন করছে। কিন্তু এর পরিণতি কি হবে তা কেউ জানে না। গোটা এলাকায় এই ঘটনা এখন মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায়, এহসান জানিয়েছেন, তিনি খুবই দরিদ্র এবং শ্রমিকের কাজ করে কোনোমতে সংসার চালান। ৭ মাস আগে তিনি দু’টি সাপ দেখেছিলেন। সেখানেই একটি সাপকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলেছিলেন তিনি। এরপর থেকে বহুবার তাঁকে সাপ কামড়েছে। মাঠে কাজ করার সময়ই এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও, তিনি জানিয়েছেন, “আমার চারটি ছোট বাচ্চা আছে। এখন আমার কিছু হয়ে গেলে আমার পরিবারের কি হবে তা নিয়েই খুব ভয়ে থাকি।” অপরদিকে, ওই খামারের মালিক সত্যেন্দ্র জানিয়েছেন যে, “এখন থেকে ৭ মাস আগে, সাপটি এহসানকে কামড় দিয়েছিল। দু’টি সাপ থাকলেও তাদের একজনকে মেরে ফেলে সে। তারপর থেকেই সাপ কামড়ালে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়। মূলত সেটি একটি কেউটে সাপ। ওই ঘটনায় সকলেই খুব আশঙ্কিত।”