অর্থের অভাবে ষাঁড় বিক্রি করে নিজের কাঁধে গাড়ি তুলে নিলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) জেরে জারী হওয়া লকডাউনের সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) দেশের বিভিন প্রান্তের অনেক বেদনাদায়ক চিত্র সকলের সামনে উঠে এসেছে। লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ থকায় বিপাকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কাজ বন্ধ থাকায় অর্থাভাব এবং খাদ্যাভাবে কাটছে তাঁদের।

cow 22

এক পরিযায়ী শ্রমিকের গল্প
ইন্দোর থেকে যাত্রারত এমনই একটি শ্রমিক পরিবারের শোচনীয় চিত্র উঠে এল। অর্থের অভাবে ষাঁড় টানা গাড়ির একটি ষাঁড় বিক্রি করে দিয়ে, নিজেই কাঁধে গাড়ির ভর তুলে নেয় পরিযায়ী শ্রমিক রাহুল। গাড়িতে রয়েছে তাঁর পরিবারের অন্যান্য মানুষজন। চাদিফাটা রোদের মধ্যে ইন্দোরের বাইপাস এলাকার এই শ্রমিকের দৃশ্য কোন সিনেমার গল্প মনে হলেও বাস্তব সত্য।

১৫ হাজার টাকা মূল্যের ষাঁড় বিক্রি করেছিল মাত্র ৫ হাজার টাকায়
মাহোরের এই বাসিন্দা কাজের জন্য ভিন রাজ্যে ইন্দোরে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে ষাঁড় কিনে জমিতে লাঙ্গলের কাজ করতেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন জারী হওয়ায় অর্থ সংকটে পড়ে রাহুল। শেষে বাড়ি ফেরার জন্য তাঁর দুটি ষাঁড়ের মধ্যে থেকে একটি ষাঁড় বিক্রি করে দেয়। ১৫ হাজার টাকা দামের ষাঁড় সংকটের সময়ে মাত্র ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

অর্থ সংকটে পড়ে অনেক কমেই ছেড়ে ষাঁড় দিতে বাধ্য হই
রাহুল জানায়, ধীরে ধীরে সমস্ত খাবার শেষ হতের শুরু করে। এবং পকেটের টাকাও একটা সময় পর শেষ হয়ে যায়। তাই অনেকটা কম দামেই একটি ষাঁড় বিক্রি করে অপর ষাঁড়ের জায়গায় নিজেই কাঁধ পেতে দেয় রাহুল। রাস্তায় এই এক ষাঁড় বিশিষ্ট গাড়ি টেনে যখন সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাঁর জায়গায় তখন তাঁর শ্যালক দায়িত্ব তুলে নেয়।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর