ধুপগুড়িতে নাবালিকাকে ৭-৮ জন মিলে গণধর্ষণ, পুলিশে অভিযোগ জানাতে বাধা মোড়লদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের নানা প্রান্তে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে নারী নির্যাতনের সংখ্যা। সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছে বাংলার নামও। কামদুনি থেকে শুরু করে পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। সাম্প্রতিক অতীত হাঁসখালির ঘটনায় জড়িয়েছে শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের নাম। এবার যেন সেই একই ছবির পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে, এবার ঘটনাস্থল ধূপগুড়ি।

সূত্রের খবর,দিনকয়েক আগে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি ভেমটিয়া এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকাকে ৭ থেকে ৮ জন যুবক ধর্ষণ করে। এমন পৈশাচিক ঘটনার জেরে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে নির্যাতিতা। নাবালিকার কাছ থেকে বিস্তারিতভাবে অত্যাচারের কথা জানতে পাওয়ার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।

জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর প্রসঙ্গ উঠতেই গ্রামের মোড়লেরা তীব্র আপত্তি জানাতে থাকেন। শুধু তাই নয়, সালিশি সভার মাধ্যমে সমগ্র বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার কথাও তারা বলেন। যদিও, ইতিমধ্যেই গ্রামের মোড়ল দের আপত্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর তাতেই এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

এই পরিস্থিতিতে যখন গ্রামের মোড়লদের বক্তব্য নিয়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এসেছে গণধর্ষণে অভিযুক্ত সোহেল আলম নামে এক যুবক ও তাঁর সঙ্গীদের নাম। এমনকি, একটি অডিও ক্লিপিংসও ভাইরাল হয়েছে। আর সেই অডিও ক্লিপিংসের দৌলতে নাবালিকার উপর যে ভয়াবহ অত্যাচার হয়েছে সেই ছবি পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। তবে, সোহেলের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত ছিল সেই বিষয়ে কোন স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

rape 4 1

একবিংশ শতকে দাড়ি ও নারী নির্যাতনের ঘটনা রীতিমতো ভয়ে ধরাচ্ছে আমজনতার মনে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের সাজা হয়েছে আবার কোনো কোনো মামলা এখনো পর্যন্ত বিচারাধীন রয়েছে। তবে, বাংলার বুকে এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর