বাংলাহান্ট ডেস্ক : কখনো কি শুনেছেন যে মেয়েরা জন্মানোর পর ছেলেতে পরিণত হয়ে যায়। হ্যাঁ বর্তমান যুগে প্রযুক্তির খাতিরে সবকিছুই সম্ভব। কিন্তু এমন দেশ যেখানে প্রযুক্তি নয় আপনা আপনি মেয়েরা ছেলেতে পরিণত হয়ে যায়। ভাবছেন গাঁজাখুরির গল্প বলছি! আজ্ঞে না। এমনই ঘটনা ঘটে আমাদের পৃথিবীর বুকে একটি গ্রামে (Mysterious Village)। যেখানে মেয়ে হয়ে জন্মালেও জন্মানোর ১২ বছর অর্থাৎ কিশোরী কালে পা দিতে না দিতেই তারা পুরুষে পরিণত হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন জাগছে এমন গ্রাম (Mysterious Village) কোথায় রয়েছে? ভারতে নাকি অন্য কোথাও?
কোন গ্রামে (Mysterious Village) মেয়েরা ছেলেতে পরিণত হয়ে যায়?
ভারত থেকে বহু দূরে অবস্থিত লাতিন আমেরিকার ডমিনিকান রিপাবলিকের সালিনাস গ্রাম। এখানে যে কোন মেয়ের (Girls) বয়স ১২ বছর হবার পরই তারা ছেলেদের (Boys) গঠন নিতে শুরু করে। শুধু মুখের অবয়ব নয়, শারীরিক গঠনও বদলে গিয়ে একেবারে পুরুষের মতো দেখতে লাগে তাদের। বিষয়টি শুনতে অবাস্তব মনে হলেও এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে যাচ্ছেন।
ঠিক কি কারনে এমন ঘটনা ঘটে?
বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান। আসলে শিশু জন্মের সময় আমরা দেখতে পাই বাচ্চাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের শারীরিক অক্ষমতা কিংবা ত্রুটি ফুটে ওঠে। মূলত জিনগত ত্রুটির কারণেই এমন সমস্যা হতে দেখা যায়। কিন্তু আপনাকে জানিয়ে রাখি, এক্ষেত্রে কোন জিনগত ত্রুটি নয় শারীরিক ত্রুটির ফলাফলই এমন সমস্যার কারণ।
আরোও পড়ুন : মাস্টারস্ট্রোক! রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA মামলা নিয়ে বিরাট আপডেট, শীঘ্রই সুখবর?
বিজ্ঞানীদের মতে বাচ্চা যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখনই এই ত্রুটির প্রভাব পড়তে শুরু করে দেয়। মূলত মায়েরা গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন এক বিশেষ এনজাইমের অভাব তাদের মধ্যে থেকে যায়। ঠিক এই কারণে এখানকার গ্রামের মেয়েদের এই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, শিশুরা গর্ভে থাকাকালীন দু মাসের মাথায় তাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ ধীরে ধীরে পরিস্ফুট হতে শুরু করে।
আরোও পড়ুন : প্রেমিক খুঁজে পাচ্ছেন না ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা! কেন? নিজেই কারণ জানালেন অভিনেত্রী
এমনকি এই সময় প্রত্যেকটি শিশুর শরীরের বিশেষ অংশ অর্থাৎ লজ্জাস্থানও পরিস্ফুট হয়। জানা যায়, ডিহাইড্রো টেস্টাস্টেরন নামের একটি হরমোনের প্রভাবে গর্ভস্থ শিশুর পুং জননাঙ্গ পরিস্ফুট হতে পারে। এই হরমোনকে আরো সক্রিয় করে তোলে একটি বিশেষ ধরনের এনজাইম। কিন্তু সালিনাস গ্রামের মায়েদের মধ্যে এই এনজাইমের অভাব থাকার কারণে শিশুদের এমন সমস্যা হয়।
মূলত এরা সকলেই পুরুষ শিশু, এই এনজাইমের অভাবে পুরুষদের পুরুষাঙ্গ সঠিকভাবে গঠিত হয় না। ফলে প্রথমে বোঝা যায় না যে বাচ্চাটি আসলে ছেলে নাকি মেয়ে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পরিবর্তন হতে থাকলে ১২ বছর পর তাদের শরীরে পুরুষের লক্ষণ গুলি ফুটে উঠতে শুরু করে।