বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছুদিন আগেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন রাজ্য জুড়ে বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction) বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কথা মতোই এবার শুরু হয়ে গেল কাজ। এবার শুধু কলকাতা পুর–এলাকায় নয়, এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ রুখতে গোটা রাজ্যের জন্য স্টেট লেভেল বিল্ডিং কমিটি (এসএলবিসি) গঠন করল রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।
বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction) রুখতে বড় পদক্ষেপ নগরোন্নয়ন দপ্তরের
জানা যাচ্ছে, রাজ্য স্তরের এই কমিটিতে থাকছেন মোট আট জন সদস্য। এই কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিবকে। এছাড়াও রয়েছেন খড়গপুর আইআইটি–র বিশেষজ্ঞরাও। ইতিমধ্যেই পুর–দপ্তরের জারি করা নির্দেশিকায় কমিটির কাজের পরিধি ও ক্ষেত্র ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
কি কাজ করবে এই কমিটি?
রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বেআইনি নির্মাণের (Illegal Construction) অভিযোগ উঠলেই দ্রুত তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। ছোটখাটো বেআইনি নির্মাণ, অনুমোদনহীন সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলেও, সেটা খুঁটিয়ে দেখার দায়িত্ব এই কমিটির। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি নিজেদের পরামর্শও দেবেন এই কমিটির সদস্যরা।
সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখার পর যদি, এই ধরনের বিপজ্জনক বাড়ির সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট ‘বোর্ড অফ কাউন্সিলার্স’–এর সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন হয় তাহলে কমিটির সদস্যরা সেই আলোচনাও করবেন। এইভাবে সমাধানসূত্র বেরিয়ে এলে কমিটির সদস্যরা বেআইনি নির্মাণের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মতামত জানাবেন। দরকার হলে কমিটির কাছে অঞ্চলভিত্তিক বিষয়ে পরামর্শও চাইতে পারে পুর–দপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট পুরসভা। একইসাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি নির্মাণের (Illegal Construction) সমস্যা থাকলে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আপ–টু ডেট থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই গার্ডেনরিচে বেআইনি বাড়ি (Illegal Construction) ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। ওই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল কলকাতা পুরসভা। কলকাতার ওই হেলে পড়া বাড়ি দুর্ঘটনার পর গোটা শহর জুড়ে সন্ধান মিলেছে এমনই আরও একগুচ্ছ হেলে পড়া বাড়ির। অভিযোগ উঠছে বেআইনি নির্মাণ ঘিরে রমরমা কারবারের। যার ফলে দিনে দিনে আরও অস্বস্তি বাড়ছে পুরসভার।
এরইমাঝে ফিরহাদ হাকিম কিছুদিন আগে বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর প্রতি ১৫ দিন অন্তর কলকাতা পুরসভার প্রতিটি বরোর এগজি়কিউটিভ ইঞ্জিনিয়াররা এলাকা ঘুরে ঘুরে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে। আর এবার রাজ্যের ক্ষেত্রেও এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করল পুরদপ্তর।