বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভার সদস্য না হয়েই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিরথ সিং রাওয়াত (Tirath Singh Rawat) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিরথ সিং রাওয়াত বিজেপির সাংসদ ছিলেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত প্রার্থী। বাংলার নির্বাচনে চারিদিকে তৃণমূলের দাপট থাকলেও নন্দীগ্রামে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল ওনাকে। তবে তিনি বিধায়ক না হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। এই নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল অনেক। যদিও তিনি কোনও কিছুকেই পাত্তা দেননি। আর এবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তিরথ সিং রাওয়াতের পদত্যাগের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিজেপি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলতেই এই কৌশল আপন করল নাকি, সেটা নিয়েও উঠছে জল্পনা।
শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি পাঠিয়ে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিরথ সিং রাওয়াত। আর এরপরই তিনি আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে ইস্তফা দিয়ে দেন। নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়ক না হয়ে কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রী হন, তাহলে তাঁকে ৬ মাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আসতে হবে। যেহেতু, উত্তরাখণ্ডে ভোট হতে আর এক বছরও বাকি নেই, সেহেতু নিয়ম মাফিক সেখানে আর উপ নির্বাচন করানো সম্ভব নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম লাগু হচ্ছে। তবে বাংলায় উপনির্বাচন করানো সম্ভব। কিন্তু করোনার কারণে উপ নির্বাচন নিয়ে এখনি মাথা ঘামাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। যদিও, উপ নির্বাচন করানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তবে সেটি আদৌ করানো হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, তিরথ সিং রাওয়াতকে সরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি?
বিজেপির এক নেতা বলেন, নির্বাচনে হেরে গেলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিৎ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবুও হয়েছে। যেহেতু এখন উত্তরাখণ্ডে ভোট করানো সম্ভব নয়, সেহতু তিরথ সিং পদত্যাগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও তাই করা উচিৎ। কারণ করোনার জন্য বাংলাতেও এখন উপ নির্বাচন করার সম্ভব নয়। ওনার উচিৎ নৈতিকতা দেখিয়ে পদত্যাগ করে।
যদিও, তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত চাপের কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মতে উত্তরাখণ্ড আর বাংলার পরিস্থিতি এক না। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডে ভোট হতে আর এক বছরও বাকি নেই, সেই কারণে সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট করানো সম্ভব নয়। আর বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল ব্যাপক জয় হাসিল করেছে। তাই এখানে উপনির্বাচন না করানোর কোনও যুক্তিই হয়না।”