বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিয়ে মানেই ব্যাপক খরচ! প্রত্যেক মা-বাবাই ধুমধাম করে নিজের সন্তানের বিয়ে দিতে চান। তবে অনেকক্ষেত্রে বাধ সাধে আর্থিক অনটন। এমতাবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। রাজ্যের রূপশ্রী প্রকল্পের (Rupashree Prakalpa) মাধ্যমে মেয়েদের এককালীন ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের আগে অ্যাকাউন্টে আসে সেই টাকা। তবে এবার এই প্রকল্পেই (Government Scheme) এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল।
বিয়ের পর অ্যাকাউন্টে ঢুকল রূপশ্রীর (Rupashree Prakalpa) টাকা!
জানা যাচ্ছে, বিয়ের আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন বিধাননগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন পশ্চিম বেড়াবেড়ির নারায়ণপুর নিবাসী এক তরুণী। তাঁর বাবা দিনমজুর, মা পরিচারিকার কাজ করেন। টাকাটা আসলে পরিবারের খানিক সুরাহা হবে, এই ভেবে রাজ্য সরকারের এই স্কিমে আবেদন করেন। তবে বিয়ের পরেও অ্যাকাউন্টে আসেনি সেই টাকা।
গত ২১ জানুয়ারি আবেদনকারী ওই তরুণীর বিয়ে ছিল। তার মাস খানেক আগে, ১৮ ডিসেম্বর বিধাননগর পুরসভায় রূপশ্রী প্রকল্পের (Rupashree Prakalpa) জন্য আবেদন করেন। এরপর তদন্তে যান দফতরের কর্মীরা। তাঁরা সেই আবেদনপত্র মঞ্জুর করেন। তবে বিয়ের দিন এগিয়ে এলেও প্রকল্পের টাকা না আসায় পুরসভায় খোঁজ নিতে যান ওই তরুণী। তখন আবেদনপত্র খুঁটিয়ে দেখতেই একটি ত্রুটি চোখে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ ৪৫ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে AIIMS! কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ করতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের
দেখা যায়, নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের পরিবর্তে ভুল করে ওই তরুণী কাস্টোমার আইডি লিখে দিয়েছেন। এদিকে সরকারি পোর্টাল থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর সংশোধন করা যায় না। এক্ষেত্রে সরকারের কোনও দোষ ছিল না। তবে রূপশ্রীর টাকা পেলে খানিকটা সুরাহা হতো ওই পরিবারের। কিছু ধারদেনা শোধ করা যেত। সেই কারণে এই সমস্যা সমধানে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দফতরে আবেদন করে ওই পরিবার। ততদিনে ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সবটা জানিয়ে আবেদন করতেই ওই তরুণীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রূপশ্রী প্রকল্পের (Rupashree Prakalpa) টাকা। স্বভাবতই অত্যন্ত খুশি সেই পরিবার। ভুলের জন্য দেরি হলেও সরকারের তরফ থেকে টাকা মেলায় খুশি তাঁরা। এই বিষয়ে বিধাননগর পুরসভার রূপশ্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অংশুমান ধর বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আবেদনের পাশাপাশি ওই তরুণী একটি স্বঘোষণাপত্র দেন। তাতে অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল লেখার কথা উল্লেখ করেন। তখন মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগণার জেলাশাসকের দফতর ও নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ভুল শোধরানো হয়। এরপরেই ওই তরুণীর অ্যাকাউন্টে এককালীন ২৫,০০০ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়’।