বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমাদের দেশে ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা যেন জন্মগত। জাতীয় দলে খেলা ১১ জন ক্রিকেটারকে রীতিমতো ভগবানের মতো পুজো করেন অনেকেই। তাদের জন্য অসামান্য সম্মান, প্রচুর প্রচুর ভালোবাসা। অথচ পিলসুজের তলায় থেকে যান যারা, তাদের গা দিয়ে গড়িয়ে পড়ে তেল। তারা থেকে যান অন্ধকারেই। কিছু বছর আগে পর্যন্ত রঞ্জি ক্রিকেটারদের জন্য এটাই ছিল চরম সত্যি। জাতীয় দলে যারা সুযোগ পাননি, তাদের জন্য নেই কোনো প্রচারের আলো। এমনকি পেট চালানোও হয়ে ওঠে ভীষণ কষ্টকর।
আবারও সামনে এলো এমনই এক রঞ্জি ক্রিকেটারের গল্প। একসময় তিনি বল করেছিলেন সৌরভ-শচীনদেরও। এই প্রতিভাধর স্পিনারকেই এখন দিন কাটাতে হচ্ছে অন্ধকারে। পেটের দায়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ডাল পুরি। এই বাঁহাতি স্পিনারের নাম প্রকাশ ভকত। আসামের হয়ে পরপর দু’বছর রঞ্জি খেলেছিলেন প্রকাশ। এই স্পিনারের বোলিংয়ের ধরণ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মত। সেই কারণেই বিশ্বকাপের আগে ২০০২-০৩ নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলেন প্রকাশ। তার বলেই অনুশীলন করেছিলেন সৌরভ শচীনরা।
কিন্তু হঠাৎই বাবার অকাল মৃত্যুর পর ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যায় প্রকাশের। সরকারি কোনও সাহায্যও পাননি। যার জেরে ধীরে ধীরে সুযোগের অভাবেই শেষ হয়ে যায় প্রতিভা। দিন কাটছে চরম দারিদ্র্যের অন্ধকারে।
আপাতত আসামের শিলচর এলাকায় ইটখোলা পুরসভার রাস্তায় একটি ছোট্ট স্টল করে ডালপুরি বিক্রি করেন এই ক্রিকেটার। চোখে এখনও রয়ে গেছে পুরনো দিনের সেসব স্বপ্ন। হয়তো বা জানেন কোনদিনই ফিরবে না সেইদিন। কিন্তু তবু তো স্বপ্ন মরেও মরে না। তাদের মত রঞ্জি ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকেই তৈরি হন একজন সৌরভ, শচীন এবং বিরাট। লোকে মনে রাখেন সৌরভদের, আর যারা সফলতা পান না তারা এভাবেই হারিয়ে যান অন্ধকারে।