দুই জেলার মধ্যবর্তী রাস্তা হওয়ায় মেরামত নিয়ে সমস্যা, ভুগছে সাধারণ জনতা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাস্তা মেরামত হচ্ছে না বলে এবার অভিযোগ জানাল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) এবং কোচবিহারের (Cooch Behar) কিছু বাসিন্দারা। অসম সীমান্তবর্তী ৩১সি জাতীয় সড়কের নাজিরান দেউতিখাতা থেকে মাঝেরডাবরি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা সারানোর দাবীতে সরব হলেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবী দুই জেলার মধ্যে এই এলাকাটি পড়ে যাওয়ায় দুদিকের ঠেলাঠেলিতে এই রাস্তা সারানোর কোন কাজই হচ্ছে না। সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এলাকার নিত্যযাত্রীদের।

রাস্তা মেরামতের প্রধান সমস্যা
রাস্তা মেরামতের এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কা বারবিশা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বর্ণময়ী বর্মন জানান, ‘আমার এলাকার রাস্তা মেরামতের কাজ হয়ে গেছে। কিন্তু বাকি রাস্তাটা কোচবিহার জেলার রামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে। ওঁরা রাস্তা মেরামত না করায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন’। অপরদিকে রামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মালতী বর্মন বলেন, ওই সমস্যা জড়িত রাস্তাটির বেশ কিছুটা অংশ আলিপুরদুয়ারের মধ্যে পড়ছে। সেই কারণে মেরামত করতে গেলে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই বিষয়ে স্থানীয় নেতাদের সাথে কোথাও বলা হয়েছে।

f57c81c1 0529 4659 b4b0 1f5b2042420b 1024x576 1

সমস্যা ভুগতে হয় নিত্যযাত্রীদের
৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তার ধারে প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ বসবাস করেন। নাজিরান দেউতিখাতা, বারুইপাড়া, শালবাড়ি, মাঝেরডাবরি, বিষ্ণুনগর, ছাট ভল্কা, গোয়ারভাঙ্গা, ফলিমারি, রামপুর, জোড়াই সহ প্রায় সব গ্রাম মিলিয়ে মোট লক্ষাধিক মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় গাড়িচালক চন্দন দাস জানান, বর্ষাকাল এই রাস্তায় হাঁটু জল জমে যায়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আবার কখনও রোগীদের নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে বিপাকে পড়তে হয়।

উদোগ নেওয়া হবে শীঘ্রই
শেষ কবে ওই রাস্তা মেরামত করা হয়েছে বলতে পারেন না গ্রামবাসীরা। তবে তারা জানান, বিগত ১৫ বছর আগে একবার বালি-পাথর ফেলে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় জানান, নানান সময় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের আয়ত্তায় এনে ওই এলাকায় আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্যে থাকা রাস্তাগুলি সম্প্রতি পাকা করা হয়েছে। তবে কোচবিহার জেলার মধ্যে থাকা ওই রাস্তার বাকি বেশ কিছুটা অংশ মেরামতের কাজ বাকি থাকায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের সূত্রে সীমান্ত গ্রামের ওই রাস্তা মেরামতের ব্যাপারে অবশ্যই তাড়াতাড়ি উদোগ নেওয়া হবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর