বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাধিকবার আমফানের ত্রান দুর্নীতি কেন্দ্র করে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তবে সে ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল মূলত সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল ত্রাণ বণ্টনে স্বজনপোষণের। কিন্তু এবার সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। হদিশ মিলল এক সম্পূর্ণ জালিয়াতি চক্রের। সরকারি টাকা সকলের অজান্তেই নয়ছয় করছে এই জালিয়াতি চক্রটি।
কখনও পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা কখনও বা সরকারের পাঠানো অন্যান্য সাহায্য আসল প্রাপককে না জানিয়ে গায়েব করে দিচ্ছে তারা। প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেখা যাচ্ছে অনেকক্ষেত্রে তিনি জানেনই না তার অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে কোন টাকা। এর জন্য নিজে আবেদনও করেননি তিনি। এমনকি এও শোনা গিয়েছে যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন এ বিষয়ে।
কিভাবে চলছে এই জালিয়াতি চক্র? সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর দিনাজপুরের করুনাদিঘিতে এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন জেরক্সের দোকান থেকে বাসিন্দাদের আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের জেরক্স সংগ্রহ করছে এই চক্রটি। তারপর ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে খোলা হচ্ছে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রি করে সরকারি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা হচ্ছে। এরপর মঞ্জুরও হয়ে যাচ্ছে সেই আবেদন। আর এভাবেই লক্ষ লক্ষ সরকারি টাকা গায়েব করে দিচ্ছে এই চক্র।
জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অশিক্ষিত বিড়ি শ্রমিকদেরকেই টার্গেট করছে এই চক্র। তাদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে বেশি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, উত্তর দিনাজপুরের আলতাপুর, লাহুতারা প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের প্রতারণার হদিশ মিলেছে। বাসিন্দাদের প্রায় সকলের নামেই ঢুকেছে স্কলারশিপের টাকা অথচ কারও বয়স ৬০ কারোর ৭০। এদের আবেদন কিভাবে মঞ্জুর হলো সেটাই এখন বড় প্রশ্ন? পুলিশ প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। অভিযোগ জানানো হয়েছে এসডিও, বিডিও এমনকি পুলিশ সুপারকেও। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাহলে কি এই চক্রের শিকড় আরও গভীরে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন?