বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে স্প্রে দিয়ে অচৈতন্য করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। রাতভর ওই ছাত্রীকে (School Student) গণধর্ষণ (Gangrape) করা হয় বলে অভিযোগ উঠল হুগলির (Hooghly) পোলবায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। শুরু হয়েছে তদন্ত। সূত্রের খবর, ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, ছাত্রীটির পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় টিউটোরিয়ালে গেলেও সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী। এরপর রাত বাড়লেও মেয়ে না ফেরায় টিউটোরিয়ালের শিক্ষককে ফোন করে খোঁজ করেন তারা। শিক্ষক জানান, সেদিন পড়ানো হয়নি। এবং পড়ানো হবে না সেটাও নাকি আগে থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর হাজার খোঁজাখুঁজির পরও মেয়ের খবর না পাওয়ায় রাত ১টা নাগাদ পোলবা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। তবে এদিন ভোর ৫টা নাগাদ নিজেই সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী। এরপরেই সে জানায় শনিবার বাড়ি ফেরার পথে নির্জন জায়গায় বিজন নামের এক স্থানীয় যুবক তার রাস্তা আটকায়। তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয় ওই যুবক তবে ছাত্রীটি সেই প্রস্তাবে মানা করায় তার নাকে স্প্রে করে স্থানীয় একটি আমবাগানে বিজন নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
বিজনের সাথে আরও কয়েকজন ছিল বলে অভিযোগ। সেই আমবাগানে অচৈতন্য অবস্থায় ছাত্রীর উপর রাতভর নির্যাতন চালানো হয়। পরে ভোরে জ্ঞান ফিরলে ছাত্রী পাশে পরে থাকা নিজের সাইকেল নিয়ে পালিয়ে বাড়ি ফেরে। তার পরিবার সূত্রে খবর, ছাত্রীর পালিয়ে আসার সময় অভিযুক্তরা ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে কোনোক্রমে পালিয়ে ফেরে সে।
ঘটনা প্রসঙ্গে ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আজ ভোর ৫টা নাগাদ আমার মেয়ে বাড়িতে ফিরেছে রক্তাক্ত অবস্থায়। ওই যুবকরা ওকে রাজহাটের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। যুবকদের মধ্যে একজন আমার মেয়ের পরিচিত। বাকিরা নয়।’ অন্যদিকে, এই বিষয়ে হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আমনদীপ বলেন, “ওই কাণ্ডে সবাই ধরা পড়বে। জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। নির্যাতিতার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে।” সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।