বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রোজকার মতো মঙ্গলবার সকালেও স্কুলে গিয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া (School Student) এক কিশোর। কিন্তু আচমকাই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। বাড়িতে খবর আসে মৃত্যু হয়েছে তার। সূত্রের খবর স্কুল থেকেই নাকি অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতলের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। দিল্লির বসন্ত বিহার স্কুলের ছাত্র (School Student) মৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ বেড়েই চলেছে রহস্য।
স্কুলের ছাত্রের (School Student) রহস্যমৃত্যু
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওই বেসরকারি স্কুলের মধ্যে থেকেই ১২ বছর বয়সি এক পড়ুয়ার (School Student) দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ওই পড়ুয়ার বাড়ি বসন্ত বিহারের কুদুমপুর পাহাড়ি এলাকায়। তবে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, শ্বাসরোধের কারণে তার মৃত্যু কিশোরের।
পড়ুয়ার শরীরে বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে তার মুখ দিয়ে গ্যাঁজা বেরিয়ে গিয়েছিল। পড়ুয়ার দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, সহপাঠীদের হাতে মার খেয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের।
পুলিশ ওই কিশোরের স্কুলের সহপাঠীদের একাংশের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে ঐদিন স্কুলের মধ্যেই গন্ডগোল হয়েছিল কিশোরের। শুরু হয়েছিল মারামারি। ধাক্কাধাক্কিতেই নাকি সে আচমকা লুটিয়ে পড়ে গিয়েছিল মাটিতে। তারপরেই তার মুখ থেকে গ্যাঁজা বেরোতে শুরু করে।
এরপর তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই পড়ুয়ার স্কুলের সহপাঠীরা, গন্ডগোলের তথ্য তুলে ধরলেও পুলিশ সূত্রে খবর ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে উঠে আসছে আরও একাধিক দাবি। তবে তদন্তের সুবিধার জন্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেছ।
আরও পড়ুন: চলছে বিয়ের ‘হানিমুন পিরিয়ড’! নদিয়ায় ভরা মেলার মাঝেই প্রাক্তন প্রেমিক এসে যা করল…
স্কুলে তদন্ত শুরু করেছে ফরেনসিক দলও। ডেপুটি পুলিশ সুপার এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় প্রসঙ্গে জানিয়েছেন ওই ছাত্রের শরীরে কোন আঘাতের জন্য মেলেনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কোন শারীরিক সমস্যার কারণেই সম্ভবত ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক এবং পুলিশদের ও জিজ্ঞাসাবাদ ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
তবে মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ,স্কুলের সহপাঠীরাই তার ছেলেকে মেরেছে। তার দাবি ‘আমার পুত্রের কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। সকালে যখন স্কুলে দিয়ে এসেছিলাম, তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।’