মাধ্যমিকের উত্তরপত্রে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ লেখা! অভিভাবকদের খাতা দেখাল পর্ষদ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাধ্যমিকের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রতিবারই বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। কখন উত্তরপত্রে নম্বর বাড়ানোর আর্জি বা কখনও বা মজার ছড়া এই সব কিছুর সাথেই অভ্যস্ত শিক্ষকমহল। কিন্তু তাই বলে উত্তরপত্রে লেখা থাকবে ‘গালাগালি’? কিছু ‘গুণধর’ পরীক্ষার্থীর কীর্তিতে হতবাক পরীক্ষকরা। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা শুধু যে তাজ্জব হয়েছেন এমনটা নয়, স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন অভিভাবকরাও।

পর্ষদ সূত্রের খবর, প্রতিবছরই বিভিন্ন কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশের উত্তরপত্র বাতিল করতে হয়। এর পিছনে অবশ্য বেশ কয়েকটি বিষয় নজরে আসে। দেখা যায়, হয়তো কেউ এমন উত্তর লিখেছে, যার সঙ্গে কোনও সাদৃশ্য নেই মূল বিষয়ের। এমনকী, কোনও প্রশ্নের উত্তর না লিখে পাস করিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানোর নজিরও রয়েছে। কিন্তু এবছর মাধ্যমিকের খাতা দেখতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে কার্যত মাথায় হাত পর্ষদ কর্তাদের। মাধ্যমিকের উত্তরপত্রে অশ্রাব্য গালিগালাজ লিখে পাতার পর পাতা ভরিয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়া।

জানা গিয়েছে, ডেকে পাঠানো হয়েছিল সেই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের। তাঁরা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়েই। কোথা থেকে শিখল এমন ভাষা? পড়ুয়াদের সামনে যখন খাতা দেখানো হয়, হকচকিয়ে যান অভিভাবকরাও।

এক অভিভাবিকা জানান, স্বামী নেই। নিম্নবিত্ত পরিবার তাদের। অনেক কষ্ট করে সন্তানকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। রাগ নয়, বরং সন্তানের মাধ্যমিকের খাতা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কোনও কোনও অভিভাবক আবার পর্ষদ কর্তাদের সামনেই সন্তানকে মারধরও করেন বলেও সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর করোনার কারণে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষা। এবছর চিরাচরিত নিয়মে ফের হলে বসে পরীক্ষা দিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। রেজাল্ট কবে? এখনও পর্যন্ত যা খবর, উত্তরপত্রের মূল্যায়ণ শেষ। জুনের প্রথম সপ্তাহেই মাধ্যমিক ফলপ্রকাশ করতে পারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর