বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক বছরে চরম আর্থিক সঙ্কটের (Crisis) মধ্যে রয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। যার ফলে টালমাটাল হয়ে পড়েছে ওই দেশের অর্থনীতিও। এমনকি, দিন যত এগোচ্ছে ততই আরও শোচনীয় হয়ে পড়ছে ওই দেশের আর্থিক অবস্থা। এমনকি, বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই করুণ হয়ে গিয়েছে যে, সেদেশের শহুরে জনসংখ্যার প্রায় ৭৪ শতাংশ তাদের মাসিক খরচ মেটাতে পারছে না।
চরম সঙ্কটে (Crisis) রয়েছে পাকিস্তান:
এমতাবস্থায়, আর্থিক সঙ্কটের (Crisis) সাথে লড়াই করার জন্য অনেকে দু’টি করে কাজ করছেন। ওই দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে ২০২৩ সালের মে মাসে যে হার ৬০ শতাংশ ছিল, তা এখন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশকে গ্রাস করেছে।
মানুষ স্বল্প পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী কিনছে: সম্প্রতি পালস কনসালট্যান্টের একটি সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে ARY নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের শহুরে জনসংখ্যা এখন তীব্র সঙ্কটের (Crisis) সম্মুখীন হয়েছে। সেখানকার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ শুধু খরচ কমানোর পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রীও কম পরিমাণে কিনছে। এদিকে, খরচ মেটানোর জন্য পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ঋণ চাইতে শুরু করেছে ৪০ শতাংশ মানুষ। ওই সমীক্ষাতে এটাও সামনে এসেছে যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০ শতাংশ মানুষ একইসাথে দু’টি কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন: একইসাথে ১০,০০০ মহিলার লোকনৃত্য! ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল ভূস্বর্গ
অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা করতে পারছে না সঞ্চয়: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের ১১ টি শহরে এই সমীক্ষা চালানো হয়। যেখানে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী মানুষদের ওই সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, পাকিস্তানের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা অত্যন্ত কষ্টে নিজেদের খরচ মেটাচ্ছেন। তবে, তাঁরা কোনও প্রকার অর্থ সঞ্চয় করতে পারছেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ক্রমশ বাড়ছে। ২০২৯ সালে এটি ৪৪৪.৬১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সুদ শোধ করতে করতেই কালঘাম ছুটছে সরকারের।
IMF থেকে বেলআউট প্যাকেজ পাওয়ার আশায় পাকিস্তান: জানিয়ে রাখি, পাকিস্তান আশা করেছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) তাদের একটি বেলআউট প্যাকেজ দেবে। কিন্তু, দেশটিকে আরও সাহায্য দেওয়ার বিনিময়ে, IMF এমন শর্ত আরোপ করেছে যা মেনে নেওয়া পাকিস্তানের পক্ষে খুব কঠিন বলে বিবেচিত হচ্ছে। গত ৫ বছরে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৭.৩ শতাংশ। চিনের কাছেও পাকিস্তানের ঋণ বাড়ছে। এমতাবস্থায়, পাকিস্তান চিনের কাছে ৮ বছরের ঋণ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে, ঋণ পরিশোধ করতে পাকিস্তানকে আরও ঋণ নিতে হচ্ছে।