সদ্য সেরেছিলেন বিয়ে! ছুটি কাটিয়ে দেশের কাজে ফিরতেই রাজৌরিতে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ বাংলার জওয়ান

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত মাসেই এসেছিলেন বাড়িতে। পাশাপাশি, সেই সময়েই বিবাহ সেরে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন বছর পঁচিশের সিদ্ধান্ত ছেত্রী। কিন্তু, কয়েক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এখন শোকে মূহ্যমান দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) বিজনবাড়ি। কারণ, গত শুক্রবার রাজৌরিতে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় বাংলার জওয়ান সিদ্ধান্তের দেহ।

উল্লেখ্য যে, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ হন ভারতের ৫ জওয়ান। আর তাঁদের মধ্যেই ছিলেন সিদ্ধান্ত ছেত্রীও। বাকিদের মধ্যে ১ জন জওয়ান উত্তরাখণ্ডের, ২ জন হিমাচলের এবং আরেকজন জম্মুর বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে, সদ্য বিবাহ সেরে গত ১৪ এপ্রিল দেশের কাজে ফিরে গেলেও সেখান থেকে আর ফেরা হল না সিদ্ধান্তের। উল্লেখ্য যে, দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়িতেই জন্ম সিদ্ধান্ত ছেত্রীর। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। ২০১৯ সালে সেই স্বপ্নকেই সত্যি করে ফেলেন তিনি। ওই বছরই সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন সিদ্ধান্ত। জঙ্গি মোকাবিলার ক্ষেত্রে একাধিক অপারেশনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পদোন্নতি হওয়ার পর ২০২১ সালে প্যারা এসএফে নিযুক্ত হন সিদ্ধান্ত।

কিন্তু, শেষপর্যন্ত জঙ্গিদের গুলিতেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিতে হল সিদ্ধান্তকে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা হয় তাঁর। সদ্যবিবাহিতা স্ত্রীকে কথা দিয়েছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফের ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন তিনি। কিন্তু ঠিক তারপরের দিনই সেই চরম দুঃসংবাদ সামনে আসে পরিবারের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই সিদ্ধান্তের মৃত্যুতে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে সিদ্ধান্তের দেহ দার্জিলিংয়ের বাড়িতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বাঙালি জওয়ানের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজৌরির এই ঘটনার পর শনিবার সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর