বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দীপ রায়ের সিনেমায় লালমোহনবাবুর একটা বিখ্যাত ডায়ালগ ছিল, “ভগবান জব দেতা হ্যায় ছপ্পর-ছপ্পর ফারকে দেতা হ্যায়।” কার্যত এবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে সামনে এল সিনেমার মতই এক ঘটনা। জঙ্গিপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটা ছোট্ট পানের গুমটি চালাতেন সামিউল শেখ নামের এক প্রৌড়। অভাবের সংসার, যেটুকু রোজকার তাতেই কোনমতে টেনেটুনে চলে পরিবার। বাড়ির অবস্থাও তথৈবচ। কোথাও ভেঙে পড়েছে ছাদ কোথাও বা খসে গেছে পলেস্তারা।
অভাবের কারণে বিবাহযোগ্যা তিন মেয়েকেও বিয়ে দিতে পারেননি সামিউল। কোনদিনই হয়তো তিনি ভাবতেই পারেননি হঠাৎ এভাবে বদলে যাবে জীবন। কিন্তু একটা লটারির টিকিটই বদলে দিল ভাগ্য। রাতারাতি এখন কোটি টাকার মালিক সামিউল। প্রায়শই অভ্যাসবশে লটারি টিকিট কাটতেন বছর ছেচল্লিশের এই প্রবীণ। সেভাবেই বুধবার রাতেও লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি।
কিন্তু ৪৫০ টাকার টিকিট যে পাইয়ে দেবে এক কোটি টাকা তা কে ভেবেছিল। রাতে ফল প্রকাশ হতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে সামিউলের পরিবার। খবর জানাজানি হতে এলাকার বাসিন্দারাও রীতিমত ভিড় করেন তার বাড়ির সামনে। খবর দিতে হয় পুলিশেও, এর আগেও মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান সহ একাধিক এলাকায় লটারি কেটে রাতারাতি ভাগ্য বদল হয়ে গিয়েছে বহু ব্যক্তির। যদিও আসল কথা হল ওই ভাগ্যই, কারণ সারা জীবন টিকিট কেটেও তেমন কিছুই পাননি এমন লোকের সংখ্যাও তো কম নেই।
এত টাকা দিয়ে এখন কী করবেন সামিউল? তিনি জানান প্রথমেই মেরামত করতে হবে বাড়িটা। আর তারপর পানের গুমটির পাশাপাশি একটি বড় ব্যবসা খোলারও চেষ্টা করবেন তিনি। এছাড়া বিয়ে দিতে হবে তিন মেয়েকেও। সামিউলের কথায়, “লটারির টাকা দিয়ে বাড়িটা মেরামত করব। তিন মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাও করব। তার পর বাকি টাকা দিয়ে ব্যবসাটা বাড়ানোর কথা ভাবব।”