বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের চারপাশে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা অবাক করে দেয় সবাইকেই। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই সব ঘটনাগুলির জন্য দায়ী থাকে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত এবং বেপরোয়া জীবনযাপন। এমনিতেই, বর্তমানে ফাস্ট ফুডের যুগে পেট ব্যথা (Abdominal Pain) খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা হয়। তবে, খুব বেশি ব্যথায় কাবু হয়ে গেলে অনেকে ওষুধ খান বা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক পরামর্শ নেন।
এমতাবস্থায়, সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একজন যুবক পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর তাঁর রিপোর্ট দেখে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েন ওই চিকিৎসকেরা। মূলত, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে, ওই যুবকের পেটে আস্ত একটি স্টিলের গ্লাস আটকে রয়েছে। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে বিহার থেকে।
ঠিক কি ঘটেছে: প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিহারের বেত্তিয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সেখানে ২২ বছর বয়সী এক যুবক কয়েকদিন আগে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। এমনকি, তাঁর মলদ্বার থেকে রক্তও বেরোতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা ওই যুবককে পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে, তাঁর পেটে প্রায় ১৪ সেন্টিমিটার (৫.৫ ইঞ্চি) লম্বা একটি স্টিলের গ্লাস আটকে রয়েছে। আর সেই কারণেই তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করার পাশাপাশি, তাঁর মলদ্বার থেকে রক্তও বেরোতে থাকে।
আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে অপারেশন: এমতাবস্থায়, ওই যুবকের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এই প্রসঙ্গে অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক ইন্দ্র শেখর কুমার জানিয়েছেন যে, এই অস্ত্রোপচারটি ১১ জন চিকিৎসকের একটি দল নিয়ে সম্পন্ন করা হয়। পাশাপাশি, ওই যুবকের শরীর থেকে সফলভাবে স্টিলের গ্লাসটি বের করা গেছে বলেও জানান তিনি।
খবর অনুযায়ী, যুবকটির শরীর থেকে গ্লাসটি বের করার জন্য প্রথমে তাঁর কোলোস্টমি করা হয়েছিল। মূলত, এটি হল এমন একটি সার্জারি যেখানে অন্ত্রে একটি গর্ত তৈরি করা হয় এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য একটি ছোট ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং জানুয়ারিতে তাঁর কোলোস্টোমি অপসারণ করা হবে। চিকিৎসকদের দাবি, ওই যুবকটি যখন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন, তখন নিশ্চয়ই ওই স্টিলের গ্লাস তাঁর শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাই, তাঁর কিছুই মনে নেই।
কিছুদিন আগেই সামনে এসেছিল আরও একটি ঘটনা: কিছুদিন আগেই ঠিক এমনই একটি ঘটনা উঠে এসেছিল খবরের শিরোনামে। মূলত, মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তলপেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। একটা সময়ে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে তিনি ভিন্দের জেলা হাসপাতালে যান। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর রক্ত পরীক্ষা সহ আরও কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দেন। ওই পরীক্ষাগুলির রিপোর্ট আসার পরেই চিকিৎসকেরা অবাক হয়ে যান। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল যে, ওই ব্যক্তির মূত্রথলিতে একটি পেরেক আটকে ছিল। যার কারণে তিনি যন্ত্রণা অনুভূত করেন। সর্বোপরি, প্রায় এক বছর যাবৎ ওই পেরেকটি তাঁর মূত্রথলিতে আটকে ছিল বলেও জানা যায়।