দুটো কচুরি আর টাকার আশায় আজও হাত পাতেন! শিয়ালদার আশি বছরের বৃদ্ধার কাহিনী চোখে জল আনবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স ৮০ পেরিয়েছে। অসমর্থ শরীর। কিছুটা হাঁটলে হাঁটু ধরে থমকে যান বারবার। তবুও এই বয়সে এসে চলছে জীবন সংগ্রাম। এই বৃদ্ধাকে দেখলে অনেকের মনে পড়ে যাবে বনফুলের লেখা ‘বুড়িটা’ গল্পের প্লট। এই গল্পে বনফুল লিখেছিলেন এক বুড়ি প্রতিদিন তাঁর কাছে আসতেন পয়সা চাইতে। কিছুদিন পর সেই বুড়ি আসা বন্ধ করে দেয়।

তার বদলে বনফুলের কাছে আসতেন অন্য এক বুড়ি। গল্পে বনফুল এই বুড়িকে  ‘পার্মানেন্ট পাওনাদার’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছিলেন। এই বুড়িমার পর আরো এক বুড়ি যেদিন বনফুলের কাছে এসে ভিক্ষা চাইলেন, সেদিন লেখক উপলব্ধি করেছিলেন সময় যাবে, কিন্তু এই বুড়ি আসতে থাকবে। এরকমই এক বুড়ির সন্ধান পাওয়া গেল শিয়ালদা আদালতের ফ্লাইওভারের নিচে।

আরোও পড়ুন: মালদ্বীপকে চাপে ফেলতে রণকৌশল, দ্বীপরাষ্ট্র ঘেঁষে নৌঘাঁটি তৈরী করছে ভারত! বড় প্ল্যান নৌসেনার

বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়েছে শরীর। প্রতিনিয়ত সংগ্রামের সাথে কাটছে জীবন। এই বৃদ্ধার দাবি তার বয়স পেরিয়েছে ৮০ বছর। অসুস্থ শরীরে প্রতিদিন আসেন শিয়ালদা। স্বামী মারা গেছেন বহুদিন হল। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বিয়ের পর মেয়ে খোঁজ রাখেন না মায়ের। ক্যানিংয়ের ঘোষপাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে থাকেন এই বৃদ্ধা।

আরোও পড়ুন: ‘আমার হাতে তোমার হাত…’, ভালবাসা দিবসে ফেসবুকে শোভনের জন্য গদগদ প্রেমের প্রকাশ বৈশাখীর

এই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে হারিয়ে যায় তার ভোটার কার্ড। সেই বিষয়টি জানাতে তিনি যান থানায়। যদিও এই বৃদ্ধার দাবি সেখানে পুলিশ তাকে কোনও রকম ভাবে সহায়তা করেনি। উপযুক্ত নথি না থাকায় এই বৃদ্ধা পাচ্ছেন না বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা কিংবা কন্যাশ্রীর মতো সুবিধা। বঞ্চিত সরকারি সুবিধা থেকে। তাই কলকাতার রাস্তায় ভিক্ষা করে দিন কাটে তার।

newwwwwwwwwww 1

পথচারীদের দেখলে কৌটো বাড়িয়ে বলেন,  ‘দুটো কচুরি দিয়ে দাও বাবা’। এই বৃদ্ধার বক্তব্য, ‘যদি সরকারি কিছু সাহায্য পাই। তার ব্যবস্থা করে দিলে খুব সুবিধা হয়। না হলে এই শরীর নিয়ে আর চলে না।’  ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে যাওয়ার পর জানাতে তাকে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর