বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ যেন জোর যার মুলুক তার। আবারও অভিযোগের কাঠগড়ায় এক তৃণমূল কর্মী (TMC Workers)। উঠে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের (Rape a Housewife) অভিযোগ। অভিযুক্ত এই তৃণমূল কর্মী অবশ্য গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটকপুকুর এলাকায়। অভিযোগ এলাকার এক গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে ধর্ষণ করেছে ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ভাঙড় থানার পুলিস। অভিযুক্তের নাম লতেমান মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, লতেমান নাকি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে বাড়িতে একা পেয়ে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। এরপর ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে তাঁকে। বাইরের কাউকে জানালে ধর্ষণের অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে।
যদিও পরে নিজের স্বামীকে পুরো বিষয়টা জানান গৃহবধূ। তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ভাঙড় থানাতে ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের কর হয় অভিযোগ। ভাঙড় থানার পুলিস ওই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে। দলীয় কর্মী হলেও অভিযুক্তের পাশে না দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভাঙরের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। এখন দেখার শাসক দলের কর্মী হওয়ার পরেও এই জঘন্য অপরাধের জন্য লতেমান শাস্তি পায় কিনা।
সম্প্রতি, পুরাতন মালদা থানার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক গৃহবধূকে অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আবার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ঘটনাটি পুলিশকে জানানোয় ওই তৃণমূল নেতা নির্যাতিতাকে হুমকিও দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন অভিযুক্ত মহিষবাথানি অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। তার প্রমাণ হিসাবে সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।