বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাতে কয়েক দিন ছুটি পেলেই বাঙালি ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। প্রত্যেক বাঙালির কাছে ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পছন্দ হল দীঘা, পুরী কিংবা দার্জিলিং। কিন্তু গরম বাড়ার সাথে সাথে দীঘা ও পুরীর সৈকতে কমছে পর্যটকের সংখ্যা। অন্যদিকে, ভিড় বাড়তে শুরু করেছে শৈল শহর দার্জিলিঙে। আগামী কয়েক মাস দার্জিলিং ভরা থাকবে পর্যটকে। আর আজকাল সরাসরি দার্জিলিং সফরের পাশাপাশি ভিড় বাড়ছে অফবিটেও অর্থাৎ পাহাড়ি গ্রামেও।
তাই, আজ আমরা আপনাকে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) এমন একটি জায়গা সম্বন্ধে বলতে চলেছি যেখানে হয়তো আপনি আগে যাননি। আর যদি এর আগে গিয়েও থাকেন তাহলে বারবার যেতেই আপনার মন চাইবে। আজ আমরা কথা বলবো ধোত্রে নিয়ে। এই জায়গাটি পড়ে সান্দাকফু যাওয়ার পথে। ধোত্রে (Dhotre) আর পাঁচটা পাহাড়ী গ্রামের (Hill Station) থেকে একটু হলেও আলাদা।
এখান থেকে আপনারা কাঞ্চনজঙ্ঘার ফুল ভিউ পাবেন। যারা পাখি ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জায়গাটি অবশ্যই দ্রষ্টব্য। এছাড়াও এখানে রয়েছে ট্রেকিং এর সুবিধা। যেন পৃথিবীর সব সুখের ঠিকানা এই গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পাহাড়ের এই ছোট্ট গ্রাম এক কথায় মেঘের মুলুক। পাহাড়, জঙ্গল, মেঘ, বৃষ্টি, নির্জনতা যেন মাখামাখি হয়ে গিয়েছে এই গ্রামে। সমুদ্রতল থেকে সাড়ে আট হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ি সবুজ গ্রাম ধোত্রে।
ধোত্রে অবস্থিত দার্জিলিং এর সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে সবুজ পাহাড়ের মধ্যে। এই গ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ি ফুল, সবুজ পাইন বনানী ও কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য আপনার মনকে সমৃদ্ধ করবে। যারা ভীড় থেকে দূরে একটু শান্ত পরিবেশে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এই গ্রাম আদর্শ। এই গ্রামে মানুষ বসতিও খুব কম। ৫০টির কাছাকাছি পরিবার বসবাস করে এই গ্রামে।
এখন প্রশ্ন হল দুর্দান্ত এই পাহাড়ি গ্রামে যাবেন কীভাবে? হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরে প্রথমে আপনাকে পৌঁছতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। এরপর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এই গ্রামে। এই গ্রামে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোম স্টে। সেখানে প্রতিদিন আপনার খরচ পড়তে পারে ১২০০-১৫০০ টাকা মতো।