বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় মেয়েরা কতটা সুরক্ষিত? সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ঘটনায় মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্ন। আরজি কর (RG Kar Case), নিউটাউন কাণ্ডের রেশ এখনও টাটকা মানুষের মনে। এই আবহে খোদ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে এক তরুণীকে ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।
কোন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ?
কয়েকদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তেঁতুলমুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কাঠগড়ায় এক তৃণমূল নেতা। অভিযুক্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে খবর।
ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারের দিনহাটার এক তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য দিনহাটার ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আবদুল মান্নানকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। এরপর এত বছর কেটে গেলেও চাকরি মেলেনি। এবার টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দেওয়া হতেই ওই তৃণমূল নেতা জানান ইন্টারভিউয়ের বন্দোবস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যন্ত্রণা অতীত! জেলবন্দিদের কথা মাথায় রেখে বড় নির্দেশ! ‘এই’ আইন কার্যকর করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
অভিযোগ, সোমবার ইন্টারভিউয়ের নাম করেই ওই তরুণীকে নিজের গাড়িতে তুলেছিলেন আবদুল। এরপর তাঁকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি তরুণীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই তৃণমূল (TMC) নেতা হুমকি দেন, এরপর টাকা চাইলে ওই ছবি-ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এখানেই শেষ নয়! এরপর অভিযুক্ত নেতা নির্যাতিতাকে বলপূর্বক মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তরুণী তাতে রাজি হননি। এরপর তাঁর মাথায় মদের বোতল ভাঙেন অভিযুক্ত। এমনই অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপর যন্ত্রণায় ওই তরুণী চিৎকার করে উঠলে স্থানীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
ইতিমধ্যেই ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে দিনহাটা থানায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার বাবা। এরপর মঙ্গলবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন আবদুল। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।