বাংলা হান্ট ডেস্ক: বন্ধুদের মধ্যে কত না বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা হয়ে থাকে। কিন্তু সামান্য একটি বিষয় থেকে যে নির্মম হত্যার ঘটনা (Murder Case) ঘটে যেতে পারে তা সত্যিই অকল্পনীয়। কিন্তু এবার এমনই এক মর্মান্তিক হত্যার ঘটনার সাক্ষী থাকলো উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh)। এক ফোঁটা প্রস্রাব (Urine) নিয়ে বচসার জের দুই বন্ধুর বিবাদ পৌঁছে যায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে (Murder Case)। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে একটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এনেছে।
যা থেকে জানা যাচ্ছে, ঘটনা সূত্রপাত হয়েছিল, প্রস্রবের এক ফোঁটা থেকেই। সেই থেকে বচসা শুরু হলেও ক্রমে তা হাতাহাতি থেকে তা শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় হত্যাকাণ্ডে। মদ্যপানের পার্টির পর বাড়ি ফেরার পথে প্রচন্ড রাগের মাথায় এক বন্ধুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ফেরার এক যুবক। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তের সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের সেকেন্দ্রাবাদের কোতোয়ালি এলাকার সরাইগাসি গ্রামে। সেখানেই একটি মদ্যপানের পার্টি সেরে বাড়ি যাচ্ছিল একদল বন্ধুবান্ধব। তখনই তাদের মধ্যে একজন অঙ্কুর নামের এক যুবক প্রস্রাব করছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্রাবের ছিঁটে এসে গায়ে লাগতেই প্রচন্ড রেগে যান রাহুল নামের এক যুবক।
আরও পড়ুন: উঠছে নিষেধাজ্ঞা! অবশেষে চেনা ছন্দে ফিরছে দিঘা, মন্দারমণি
প্রস্রাব এসে গায়ে লাগায় বিরক্ত হয়ে রাহুল কষিয়ে চড় মেরে বসে অঙ্কুরের গালে। কিন্তু তখন সে বুঝতে পারিনি এই থাপ্পড়ের মূল্য তাকে চোকাতে হবে নিজের প্রাণ দিয়ে। রাহুলের হাতে চড় খেয়ে মাথায় যেন রক্ত উঠে যায় অঙ্কুরের। তাই ঠিক ভুল কোনো কিছুই বিচার না করে অঙ্কুর রাগের বশেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে রাহুলকে।
বন্ধুকে খুনের পর ইতিমধ্যেই ফেরার ঘাতক অংকুর। মৃত যুবক রাহুলের দেহ হাতে পাওয়ার পর পুলিশ ইতিমধ্যেই তা ময়না তদন্ত করতে পাঠিয়েছেন। এছাড়া ওই পার্টিতে উপস্থিত অন্যান্য বন্ধুদের ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। তবে এদিন মৃত অঙ্কুরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন কি কারণে ওই দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল তারা তা জানেন না, তবে যুবকের দেহ মৃতদেহ দেখার পরেই সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু ঘটনার আগে বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা।