মাত্র ৩০ টাকায় ভরপেট খাবার! প্রায় ৫০ বছর ধরে গাছের নিচে হোটেল চালাচ্ছেন কলকাতার এই বৃদ্ধা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত ৫০ বছর ধরে গাছের তলায় ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এই বৃদ্ধা। রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ডানদিকের একটি বটগাছের নিচে এই বৃদ্ধার ছোটখাটো একটি হোটেল। সেই হোটেলে নেই কোনও আড়ম্বর। এমনকি হোটেলে নেই লাইট, পাখা। বসার জন্য রয়েছে দুটো কাঠের বেঞ্চ।এখানেই এইভাবে গত ৫০ বছর ধরে বৃদ্ধা (Old Lady) চালাচ্ছেন তার ছোট্ট হোটেলের ব্যবসা।

নির্দিষ্ট কোনও নাম নেই এই হোটেলের। তবে স্থানীয়রা এই হোটেলকে ঠাকুমার হোটেল নামেই ডাকেন। ছুটির দিন বাদে সপ্তাহে প্রতিদিন খোলা থাকে এই হোটেল। বিকেল চারটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় সব খাবার। বহু মানুষ প্রতিদিন এই হোটেলে দুপুরে খেতে আসেন। এই এলাকায় যাদের অফিস তাদের অনেকেই দুপুরের খাবার সারেন ঠাকুমার হোটেল থেকে।

এই হোটেলের রান্না নাকি একদম বাড়ির রান্নার মতো। হোটেলের এক নিয়মিত গ্রাহক বলছেন, এই হোটেলে গত তিন বছর ধরে তিনি খাচ্ছেন। এই হোটেলে খাবারের দাম যথেষ্ট কম। অনেকেই তার মতো দুপুরে এসে খেয়ে যান এই হোটেল থেকে। দোকানের মালকিনের বয়স প্রায় সত্তর ছুঁইছুঁই। রান্না করা থেকে পরিবেশন, সবটাই তিনি একার হাতে সামলান।

তার হোটেলে ভাত সবজির দাম ৩০ টাকা থেকে শুরু। মাছ ভাত ৫০ টাকা ও মাংস ভাত ৬০ টাকা। খাবারের সাথে থাকে চাটনি ও পাঁপড়। বৃদ্ধা জানাচ্ছেন তিনি চেষ্টা করেন যতটা পরিস্কার ভাবে কাজ করা যায়। তিনি রান্না করেন উনুনে। বৃদ্ধা জানাচ্ছেন, এই হোটেলের উন্নতি করার জন্য আর্থিক ক্ষমতা তার নেই। যেভাবে তিনি গাছের তলায় হোটেল চালিয়ে আসছেন আগামী দিনেও তিনি এভাবেই চালাতে চান।

img 20230523 180827

বৃদ্ধার কথায়, ভোর পাঁচটায় দোকান খুলি। এরপর রান্নার কাজ শুরু করে দিই। অন্তত ৫০ জনের রান্না করি প্রতিদিন। এই হোটেলের আয় থেকে তিনি আট জনের সংসার চালান বলে দাবি করেছেন। আগে তার স্বামী হোটেলের কাজে তাকে সাহায্য করতেন। তবে মাস চারেক আগে স্বামীর মৃত্যুর পর একা হাতে এই বৃদ্ধাকে সামলাতে হয় ৫০ বছরের পুরনো হোটেল।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর