বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছরের পর বছর ঘুরছে, যুগ বদলাচ্ছে, দুনিয়ে আধুনিকতার দিকে এদিয়ে চলেছে, কিন্তু মেয়েদের প্রতি অত্যাচারের সীমারেখা এখনও টানতে পারেনি এই বিবেকহীন সমাজ। এক মর্মান্তিক ঘটনাক সাক্ষী থাকল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম । দড়ি বেধে হিরহির করে এক মহিলাকে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক মহিলা । কী আশ্চর্যের ঘটনা, এমন দৃশ্য দেখে কোনও পুরুষ এগিয়ে এল না বাঁচাতে ।
কী হয়েছিল ঘটনাটি, শুনুন
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামী সড়ক যোজনায় চার কিলোমিটার লম্বা একটি রাস্তা তৈরি হচ্ছে । নন্দনপুর মোড় থেকে হাঁপুনিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করার আবেদন করা হয়েছিল গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে । অভিযোগ, গোটা রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে, কিন্তু গ্রামেরই বাসিন্দা এক মহিলার আপত্তিতে শেষ কাজটুকু আটকে রয়েছে আজ প্রায় এক বছর ধরে । ওই মহিলার দাবি, রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে তার জমি চলে যচ্ছে । সেই কারণেই কাজে বাধা দিয়েছেন ওই মহিলা ।
ওইটুকু রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে নিয়ে শুক্রবার গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে ওই মহিলার তুমুল ঝামেলা শুরু হয় । গ্রামেরই কয়েকজন বাসিন্দা তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে হিরহির করে টানতে টানতে নিয়ে যায় রাস্তা দিয়ে । তার ঘরের সামনে পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ । বাঁধা দিতে গেলে তার মা ও দিদিও আক্রান্ত হন ।
গোটা ঘঠনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় । বর্তমানে ওই আক্রান্ত মহিলাকে গহ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এখন অভিযোগ উঠেছে, এই মহিলার উপর যে অচ্যাচার করা হয়েছে, তা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমল সরকারের নির্দেশেই করা হয়েছে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে উপপ্রধান । সেই সঙ্গে দড়ি দিয়ে মহিলাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিও ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অমলবাবু । ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।