বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পিস্তল নিয়ে দেখাতে গিয়েছিল খেলা আর সেই খেলার পরিমাণ যে এতটাই ভয়ংকর হবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি মহিলা। ঘটনাটি মালদা জেলার কালিয়াচকের। প্রকৃতপক্ষে, আসল পিস্তল দেখতে কেমন হয়, সেটাই নিজের বৌদিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল তার দেওর।
এরপর গুলিভর্তি পিস্তলের ট্রিগারে হঠাৎ হাত লাগতেই তা থেকে চলে যায় গুলি এবং সেটাই গিয়ে লাগে মহিলাটির বুকে। পরবর্তীতে, গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে। তবে বর্তমানে তার পরিস্থিতি আরও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে এবং মহিলাটিকে কলকাতা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
জখম ওই মহিলার নাম সাহিবা খাতুন। স্বামী পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং অভিযুক্ত দেওর সাইদুল্লা হক এলাকায় ‘মস্তান’ হিসেবে পরিচিত। সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে মহিলাটির মা বলেন, “গতকাল রাতে আমার মেয়ে খেতে বসেছিল। সেই সময় ওর দেওর এসে পিস্তল নিয়ে ওর সাথে ইয়ার্কি করতে থাকে। তবে হঠাৎ সেই পিস্তল থেকে আচমকাই গুলি চলে যায় এবং সেটি এসে লাগে আমার মেয়ের বুকে।” এরপর স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে গেলেও মহিলাটির শরীর থেকে গুলি বের করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
এই প্রসঙ্গে নার্সিংহোমের কর্ণধার সত্যনারায়ন শর্মা বলেন, “জখম মহিলার বুকে এখনো পর্যন্ত গুলি আটকে রয়েছে। আমরা এটি বের করতে পারিনি, তবে বর্তমানে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চিকিৎসার মাধ্যমে ওকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।”