বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজস্থান, মুম্বাই, তেলেঙ্গানার পর এবার কলকাতাতেও (kolkata) দাপট দেখা শুরু করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস (black fungus)। খাস কলকাতাতেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন এক মহিলা। মৃতার নাম শম্পা চক্রবর্তী, বয়স ৩২ বছর। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে করোনা এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
কলকাতায় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে শম্পাদেবীর মৃত্যু বেশকিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে চিকিৎসকমহলকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলার প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলন হরিদেবপুরের শম্পা। করোনা আক্রান্ত শম্পা দেবী অনিয়ন্ত্রিত ব্লাডসুগার ও মিউকরমাইকোসিস নিয়ে শম্ভুনাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চিকিৎসকরা। তাঁকে প্রতি মিনিটে প্রায় প্রায় ১২ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ তাঁর নাকের উপর কালো ছোপ দেখে পরীক্ষা করতেই চিকিৎসকদের সন্দেহ মিলে যায়। দেখা যায় তাঁর সাইনাস, মস্তিষ্ক ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। তড়িঘড়ি অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি দিয়ে তাঁর চিকিৎসা শুরু করলেও শেষরক্ষা হয় না।
চিকিৎসকরা বেশকিছুদিন আগে থাকতেই বলে এসেছেন, করোনার সঙ্গে রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে আরও এক ভয়ঙ্কর ছত্রাক, নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস. চিকিৎসকরা আবার এটিকে মিউকরমাইকোসিসও বলছেন। যা করোনার মতই যা ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, মুম্বাই, তেলেঙ্গানায় এই ভাইরাস নিজের দাপট দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ মানুষ। এদের জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই করোনা আবহে এক মহামারি রোগের কবলে থাকাকালীন, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকেও মহামারির আখ্যা দিয়েছে। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, অ্যাম্ফোটেরাইসিন হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মোক্ষম দাওয়াই, আর এই ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে বাংলার কাছে রয়েছে। শুধু সঠিক সময়ে প্রয়োগের অপেক্ষা।