বাংলা হান্ট ডেস্ক : হিন্দুরা কর্মে নয় ধর্মে বিশ্বাসী তাদের কাছে ভগবানই শুরু ভগবানই শেষ। তাইতো বলা হয় হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেবদেবী। যার জেরে পালা পার্বণেরও তো শেষ নেই, সেই সাথে ভারতে মন্দিরেরও অভাব নেই। রাজাদের আমল থেকে শুরু করে বর্তমানে বহু মন্দির ভারতের বুকে গড়ে উঠেছে।
কখনও বলা হয়, এর সাথে অলৌকিক কাহিনী জড়িয়ে রয়েছে, আবার বলা হয় মন্দির আপনা আপনি তৈরি হয়েছে। এমনই সব কাহিনী শোনা যায়। কিন্তু এবার কালীপুজোর (Maa Kali) আগেই পুকুর থেকে ভেসে উঠলো মা কালীর (Maa Kali) মূর্তি। তাও আবার যে সে মূর্তি নয় একেবারে ৭ ইঞ্চির মূর্তি।
কোথায় উদ্ধার হয়েছে মা কালীর (Maa Kali) মূর্তি
কালীপুজো (Maa Kali) হতে ঠিকভাবে দুদিনও বাকি নেই। তার আগেই বাংলার বুকে ঘটে গেল এমন অবিশ্বাস্যকর ঘটনা। রীতিমতো হই হট্টগোল শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান কাটোয়াতে। ভাবছেন কি হয়েছে? আসলে সোমবার দুপুরে এক ভদ্রমহিলা পুকুরে স্নান করতে যান। জানা যায়, মহিলাটির নাম ঋতু মাঝি। কাটোয়ার গোয়াই গ্রামের বাসিন্দা তিনি। সেখানকারই একটি পুকুরে দুপুরের দিকে স্নানে নামেন। আর তখনই তার সাথে ঘটে যায় এমন ঘটনা।
আরও পড়ুন : পুজো থেকে বিসর্জন, সবই শেষ রাতের অন্ধকারে! অবাক লাগছে? সূর্যের মুখ দেখেন না এই মা কালী
স্নানের সময় হঠাৎ করেই একটি ভারী বস্তু পায়ে এসে ঠেকে। একটু ঘাবড়েই যান মহিলাটি। তবে পড়ে ওই বস্তুটি পুকুর থেকে টেনে তুলতেই দেখতে পান মা কালীর মূর্তি। মূর্তিটি প্রায় সাত ইঞ্চি লম্বা। তৎক্ষণাৎ পুকুর থেকে কোনরকমে মূর্তিটিকে একটি মন্দিরে রেখে সকলকে খবর দিতে যান। খবরটি শোনা মাত্রই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সকলে মন্দিরে এসে ভিড় জমান। এমনকি কাটোয়া থানাতে গিয়েও এই খবর জানানো হয়।
পুলিশ এসে পরীক্ষা করতে জানা যায়, মূর্তিটি পিতলের। এই বিষয়ে ঋতু মাঝি নামে ওই মহিলা জানান, “মা স্বপ্নদেশ দিয়েছিল। মাকে নিইনি। তবে পুকুরে স্নানে নেমেই মাকে পেয়েছি। স্নানের সময় মা পায়ে ধরা দিয়েছে। তুলে দেখি ঠাকুর। তারপর পাঁচজনকে দেখিয়েছি। পরে জানা যায় পেতলের মূর্তি”। তবে এই ঘটনাটি ঘটার পর থেকে বিষয়টি মায়ের আশীর্বাদ বলেই মনে করেছেন।