বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য দলবল বেঁধে পিকনিক। আর সেই পিকনিক সেরা বাড়ি ফেরার পথে দলবল বেঁধেই এক মহিলাকে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখাঁয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে গণধর্ষণের দায়ে। আর ৪ জনকে গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ১লা জানুয়ারির রাতে টাকি থেকে ভাঙড়ে বাড়িতে ফিরছিল একদল। তাঁরা একটি গাড়ি ভাড়া করে বর্ষবরণের পিকনিক করতে গিয়েছিল। ফেরার সময় তাঁদের গাড়ির সঙ্গে অন্য একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। এই নিয়ে দুই গাড়ির লোকেরাই একে অপরের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরে। ভাঙড়ের দলবল মিনাখাঁয় আরেকদলের হাতে মার খেয়ে গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপরই সেই গাড়িতে থাকা এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার খবর পেতেই তদন্তে নেমেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। তাঁরা এখন পর্যন্ত ৪ জনকে ভাঙচুর আর ২ জনকে গণধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার করেছে। রবিবার অভিযুক্তদের বসিরহাট জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্তদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে যে, দুই দলের বচসা হওয়ার পর ভাঙড়ের দলের গাড়ি তাড়া করে ঘটকপুকুরের কাছে ধরে ফেলে আরেকদল। ৪০৭ গাড়িতে থাকা ভাঙড়ের দলকে ব্যাপক মারধর করা হয় আরেকদলের পক্ষ থেকে। ভাঙড়ের দল মার খেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু গাড়ির মধ্যে এক মহিলা এবং এক ব্যক্তি আটকা পড়ে যান।
নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাঁদের দুজনে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায় আর তাঁকে ধর্ষণ করে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের উদ্দেশ্যে চলছে তল্লাশি অভিযান।