বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট। এইদিন থেকে শিরোনামে রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Case)। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) জমানায় হাসপাতালের অন্দরে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। এবার এই নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর!
আরজি কর মামলায় (RG Kar Case) নয়া মোড়!
আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডের পর থেকেই প্রশ্নের মুখে এসে পড়েছিল তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা। চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যা ও আর্থিক দুর্নীতি, দুই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সম্প্রতি আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে কেন্দ্রীয় এজেন্সি বেশ কিছু বিস্ফোরক দাবি করেছে। উঠে এসেছে একটি জেরক্সের দোকানের নাম।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে দরপত্র ভরতে ভুয়ো এবং জাল নথি বানিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সিবিআইয়ের চার্জশিটে এমনটাই দাবি করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ এবারের বাজেটে বাংলার জন্য বরাদ্দ কত? ফাঁস করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী! অঙ্কটা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, সন্দীপের মদতে টেন্ডারে কারচুপির পাশাপাশি টেন্ডারের বরাত পাওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ খরচ করে ভুয়ো নথিও তৈরি করেছিলেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহ। আরজি করের (RG Kar Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষের নির্দেশ মতোই ভুয়ো নথি দিয়ে দরপত্র ভরেছিলেন। কীভাবে সেই জাল নথি বানানো হয়েছিল, সেটাও চার্জশিটে তুলে ধরেছে তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআইয়ের দাবি, বিপ্লবের বাড়ির কাছে অমিত জেরক্স সেন্টার অ্যান্ড বুক স্টল নামের একটি জেরক্সের দোকানে বহু ফার্মের লেটার হেড কপি পাঠানো হয়েছিল। সেই দোকানের কর্ণধার অমিত কুণ্ডুর কাছে কখনও হোয়্যাটস অ্যাপের মাধ্যমে, কখনও আবার সরাসরি নানান ফার্মের লেটার হেড কপি পাঠানো হতো। কখনও কখনও পার্থ রায় নামের একজন ব্যক্তির মাধ্যমেও ওই সকল নথি পাঠানো হতো বলে খবর।
এরপর সেই সকল নথি স্ক্যান কপি করে ভুয়ো লেটার হেড ডিজাইন করে আন্দুল রাজমাঠ অঞ্চলের শৈবাল নামের একজনের কাছে অমিত সেগুলি পাঠিয়ে দিতেন। শৈবালের প্রিন্টিং প্রেস ছিল। সেখানে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ও সুমনের সংস্থার নামে ভুয়ো নথি, লেটার হেড বানানো হতো। এই কাজের জন্য হাওড়া বানিপুর অঞ্চলের ইউকো ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইন পেমেন্ট করেন অভিযুক্তরা। কখনও কখনও পার্থর মাধ্যমে অমিতকে নগদেও পেমেন্ট করা হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে অমিত জানিয়েছেন, ভুয়ো নথি বানিয়ে দেওয়ার জন্য সুমনের থেকে ১.৫ লক্ষ এবং বিপ্লবের থেকে ১ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। এই সকল জাল নথি ব্যবহার করেই আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে দরপত্র ভরেন দু’জন। কেন্দ্রীয় এজেন্সির চার্জশিটে এমনই বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে।