বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পরে এক নক্কার জনক নারী অত্যাচারের ঘটনায় শাস্তির পরেও কিছুতেই যেন কমছে না এ ধরনের প্রবণতা। কয়েকদিন আগেই এক আদিবাসী কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম। এমনই এক জঘন্য ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল জলপাইগুড়িও। ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলো ধূপগুড়ি। ধূপগুড়ির খালাইগ্রামে এক কিশোরীকে মদ খাইয়ে মাতাল করে তার উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত পার্থ সরকার নামে ওই ব্যক্তি তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা সরকারের স্বামী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খালাইগ্রামে স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে একটি দোকান রয়েছে পার্থ সরকারের। সেখানেই তিনি বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করেন। ওই দোকানেই কাজ করতো কিশোরীর মা ও বাবা। তারাও প্রায়শই মদ খেতেন বলে অভিযোগ।
এরই মধ্যে একদিন ওই কিশোরী পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি এলে তার ভিডিও করতে চায় পার্থ সরকার। কিন্তু বাধা দেয় তার স্ত্রী। এরপর দু’জনকেই তিনি জোর করে মদ খাওয়াতে শুরু করেন। মদ্যপ অবস্থায় তিনি ওই কিশোরীকে পোশাক খুলতে জোর করেন। প্রথমে না খুলতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত মারধরের ভয় পোশাক খুলতে বাধ্য হয় ওই কিশোরী। তার পরেই তার অর্ধনগ্ন দেহ এবং গোপনাঙ্গের ভিডিও করে রাখেন পার্থ সরকার। কিশোরীর অভিযোগ জোর করে তাকে হাসতেও বাধ্য করা হয়।
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ভিডিওটি তিনি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করে দিয়েছেন। যার ফলে রীতিমতো মর্মান্তিক হয়ে উঠেছে ওই কিশোরীর জীবন। রাস্তাঘাটে বেরোলেই দেওয়া হচ্ছে কুপ্রস্তাব। কখনো জঙ্গলে কখনো মধ্যরাতে বাড়িতে ভয়ে এবং লজ্জায় দিন কাটাচ্ছে ওই কিশোরীটি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ধূপগুড়ি থানায়। গ্রেফতার হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা সরকার।