বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে সাপুড়ের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে। প্রাচীন এই প্রবাদ-প্রবচন যে এভাবে সত্যি হবে তা হয়তো ভাবতে পারেনি কেউই। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিও থেকে প্রথম সামনে আসে বিহারের এই ঘটনাটি। বিহারের সারং জেলার মনমোহন সর্প প্রেমী হিসেবেই পরিচিত সকলের কাছে। গ্রামের কোথাও কারও বাড়িতে সাপ বের হলেই ডাক পান মনমোহন। তারপর সেই সাপ ধরে জঙ্গলে ছেড়ে দেন তিনি।
কখনও কখনও আবার বিষধর সাপের সঙ্গে খেলাও দেখাতে দেখা যেত মনমোহনকে। কিন্তু এই মনমোহনের মৃত্যু যে এভাবে সাপের কামড়ে তা হয়তো ভাবতে পারেননি এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটে একেবারেই অসাবধানতার বশে। রাখিপূর্ণিমার দিন যখন গোটা দেশজুড়ে ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছেন বোনেরা, বিহারের মনমোহনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দুই বোন তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাখি পড়ানোর জন্য।
কিন্তু খেয়াল বশে দুটি বিষধর সাপকেও রাখি পরাতে যান মনমোহন। ঘটনাটির ভিডিও করছিলেন এলাকাবাসীরাও। কিন্তু খালি পায়ে সাপ নিয়ে এ ধরনের কসরত করতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। একটু অসাবধান হতেই সাপ কামড় বসায় মনমোহনের পায়ে। এরপর আরওএকটি বড় ভুল করে বসেন মনমোহন, ঘটনাটিকে সেভাবে গুরুত্ব দেননি তিনি। আসলে মন্ত তন্ত্রের বলে সাপের বিষ নামিয়ে দিতে পারতেন এই যুবক, এমনটাই বিশ্বাস ছিল গোটা গ্রামের।
শারীরিক অবস্থার একেবারে অবনতি না হওয়া পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে নিয়েও যাওয়ার কথা ভাবেননি কেউ। সেই সূত্র ধরেই বাঁধে গন্ডগোল। শেষ পর্যন্ত তাকে এগমা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ঠিকই কিন্তু প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনাম পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক সূত্রে খবর একটু আগে নিয়ে এলেও হয়তো প্রাণে বাঁচানো যেত মনমোহনকে। এ ধরনের ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দেয় সেই নীতি শিক্ষা, কুসংস্কার নয় বিশ্বাস করুন বিজ্ঞানে।