মিসড কলে এসেছিল প্রেম! প্রেমিকার সাথে বাংলাদেশে দেখা করতে গিয়ে ৩ বছরের জেল মুর্শিদাবাদের যুবকের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রেমে (Love) পড়ে মানুষ কত কি না করে? এমনকি, মাঝেমধ্যে কেউ কেউ এবার এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন যেগুলি রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক অবাক করা ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, মিসড কল থেকে আলাপ হয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের মহিষকুণ্ডির এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গির এক যুবক।

কিন্তু, প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছতেই চরম বিপাকে পড়েন তিনি। মূলত, বিজিবি-র (Border Guard Bangladesh) হাতে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে বাংলাদেশের কারাবাসে থাকতে হয় বছর একুশের আমফান শেখকে। তবে, অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার দেশে ফিরলেন ওই যুবক।

ঠিক কি ঘটেছে: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, জীবিকার তাগিদে কেরলে (Kerala) কাজ করতে করতে মিসড কল থেকে বাংলাদেশের ওই যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় আমফানের। এদিকে, যুবতীর কাকা আকাশ শেখের সঙ্গে কাজ করত আমফান। সেখান থেকেই প্রথমে আলাপের সূত্রপাত ঘটে।

এমতাবস্থায়, ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যাওয়ায় জন্য অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন আমফান শেখ। এমনকি, সেখানে একদিন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসার সময়ে আচমকাই স্থানীয় কয়েকজন বাংলাদেশী তাঁকে ধরে বিজিবি-র হাতে ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন আমফান।

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁকে এভাবে ধরিয়ে দেওয়ার পেছনে প্রেমিকার বাড়ির লোকেদের হাত হয়েছে। এমতাবস্থায়, প্রথমে তাঁর তিন মাসের জেল হলেও কোনো অজ্ঞাত কারণে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এমনকি, তিন বছর ধরে সেখানকার জেলে থাকলেও প্রেমিকার বাড়ির তরফে কেউ দেখা করেননি আমফানের সাথে।

WhatsApp Image 2023 05 28 at 6.47.54 PM

এদিকে, আমফানের বাবা পরবর্তীকালে বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার গিয়ে জানতে পারেন যে, সেখানকার বিচারক ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় হাই-কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। তাই সেখান থেকে অনুমতি না পেলে তাঁকে ছাড়া যাবে না। তবে, শেষপর্যন্ত গত ২৫ মে ভারত-বাংলাদেশের হাই-কমিশনার পর্যায়ের অনুমতিক্রমে বিজিবির তরফে বৃহস্পতিবার গেদে সীমান্তে আমফানকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর