বাংলাহান্ট ডেস্ক : বকুলতলায় গলাকাটা দেহ উদ্ধারের অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করল চারজনকে। ধৃতদের বারুইপুর আদালতে পাঠানো হয় গতকাল। বকুলতলা থানার বাইশ হাটা গ্রামের ঢাকি রোডের উপর কিল্লাদুর্গা নগর ও বুড়ির মোড় এর মাঝে রাস্তার একধারে বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা একটি গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পান। মৃতদেহ আবিষ্কারের পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বকুলতলা থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এরপর মৃতের পরিচয় জানার জন্য বকুলতলা থানার পক্ষ থেকে আশেপাশের থানা গুলিকে মৃতের ছবি পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পরই জানা যায় ওই মৃত ব্যক্তির পরিচয়।
পুলিশ জানতে পারে মৃত ব্যক্তির নাম তারিক হোসেন মল্লিক। বারুইপুর থানার অন্তর্গত শংকরপুর ২ পঞ্চায়েতের বড়দুর্গ এলাকার বাসিন্দা সে। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে বকুলতলা থানার পুলিশ।
তদন্ত শুরু হওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মৃত ব্যক্তি তারিক হোসেন মল্লিকের সৎমা শাকিলা গাজী এবং সৎ ভাই আবির গাজী ও সাবির গাজী সহ মৃতের স্ত্রী শাকিরা বিবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হতে হয়েছে তারিক হোসেন মল্লিককে।
এছাড়াও পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃতের সৎ মা শাকিলা গাজীর প্রথম পক্ষের ছেলের সাথে মৃতের স্ত্রী র অবৈধ সম্পর্ক ছিল। বকুলতলা থানার অন্তর্গত গরদেওয়ানী অঞ্চলে পরিকল্পনা করে তারিক হোসেন মল্লিককে নিয়ে আসে সৎ ভাই আবির গাজী ও সাবির গাজী। মৃতের সৎমা ও স্ত্রীর মদতে তারা খুন করে তারিককে। শুধুই কি অবৈধ সম্পর্ক নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে বকুলতলা থানার পুলিশ।