বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনের পর দিন শোনানো হয়েছিল ভালবাসার কাহিনী। একসঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরীর গল্পও বলা হয়েছিল। বলা যায়, একপ্রকার প্রেমের ফাঁদে (Love affair) ফেলে নাবালককে (Minor Boy) তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন দুই সন্তানের মা। শুধু তাই নয়, সুদূর রাজস্থানেও (Rajasthan) নাবালককে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলেন মহিলা। কিন্তু শেষমেষ পুলিশের হাতে থাকে ধরা দিতেই হল। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কে এই মহিলা? আর হঠাৎ কেনই বা এই অপহরণের (Kidnapping) ছক?
জানা গিয়েছে, প্রিয়া দাস নামের এই মহিলার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) মোগলমারিতে। স্বামী-সন্তান নিয়ে তার ভরপুর সংসার। প্রথম দিকে সংসারে সবকিছুই ঠিকঠাক চললেও হঠাৎ করেই স্বামীর সঙ্গ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন প্রিয়ি। বছর তিনেক আগে একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যান। কিন্তু পাকাপাকিভাবে বাঁধা পড়েননি সেই সম্পর্কেও। বিচ্ছেদের পর বাড়ি না ফিরলেও এক নতুন প্রেমের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠেন প্রিয়া। কখনও শিখা, কখনও যমুনা, কখনও রুপালি নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্নজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে প্রেমের সম্পর্ক পাতাতো সে।
সূত্রের খবর, একাধিক সম্পর্কের তালিকায় উঠে এসেছে আরামবাগ, বর্ধমান, কোতুলপুর-সহ বিভিন্ন শহরে একাধিক জনের কথা। অন্যান্য যুবকদেরকে ঠিক যেমন ভাবে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল প্রিয়া ঠিক তেমনটাই হয়েছিল কোতুলপুরের ওই নাবালকের সঙ্গেও। জয়রামবাটিতে একটি দোকানে কাজ করার সময়ের তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয়। দুজনে মিলে বর্ধমানে চলে যেতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকেরা। এরপর পুলিশ তাদের খুঁজছে সেই খবর পেয়ে তারা একের পর এক আশ্রয় পালটাতে শুরু করে।
শেষমেষ গত চারদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পরে কামারপুকুর থেকে তাদের হদিশ মেলে। অপহরণের অভিযোগে শনিবার কামারপুকুর থেকে ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবুদ্দিন খান বলেন, “নাবালকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বধূকে ধরা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।” ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, রাজস্থানে নিয়ে যাওয়াই টার্গেট ছিল প্রিয়ার। সেই মতো তারা দু’দিন বর্ধমানে লুকিয়ে থাকার পর তারা খড়্গপুরের দিকে রওনা দিয়েছিল। তার আগেই কামারপুকুর থেকে দু’জনকে ধরা হয়।