বাংলাহান্ট ডেস্ক: এনআরসি, সিএএ নিয়ে গোটা দেশে চলছে তীব্র বিতর্ক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন, বিজেপি এনআরসি, সিএএ নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমেছে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, ‘অনেক জায়গায় আধার কার্ড বাতিল করে দিচ্ছে (কেন্দ্র) যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে।’
এই পরিস্থিতিতে আধার কার্ড নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম, আঝাপুর, আবুজহাটির অঞ্চলগুলিতে। এই অঞ্চলের প্রায় ৮০টি পরিবারের কাছে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেশানের চিঠি পৌঁছেছে। ডাক মারফত এই চিঠি পেয়েছে বহু পরিবার। সেই চিঠিগুলিতে পরিবারের সদস্যদের আধার কার্ডের নম্বর উল্লেখ করে কার্ডগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই।
আরোও পড়ুন : প্রাণ সংশয় হতে পারত! সুকান্তর ওপর ‘হামলা’র ঘটনায় রাজীব কুমার সহ ৫ অফিসারকে দিল্লিতে তলব
চিঠিতে বলা হয়েছে এই আধার কার্ডগুলো ফের সক্রিয় করার জন্য যেতে হবে স্থানীয় ইউআইডিএআই অফিসে। এই ধরনের চিঠি পাওয়ার পর রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি আজই আমার নজরে এসেছে। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নির্দিষ্ট আধার কার্ডগুলি বাতিলের ক্ষেত্রে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ‘আধার (এনরোলমেন্ট অ্যান্ড আপডেট) রেগুলেশনস, ২০১৬’-এর ২৮-এ ধারার। এই চিঠিতে জানানো হয়েছে, বাতিল হওয়া আধার কার্ডধারীরা ভারতে থাকার প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করতে অক্ষম হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ থাকলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে স্থানীয় ইউআইডিএআই-এর আঞ্চলিক অফিসে।