বজরং দলের নবরাত্রির অনুষ্ঠানে বাদ অ হিন্দুরা, যোগ দিতে লাগবে আধার কার্ড, জারি হল নতুন নিয়ম

বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্সবের মরসুম শুরু হয়েছে গোটা দেশেই৷ মহালয়া হয়ে গিয়েছে এ বার নবরাত্রি, নবরাত্রি উপলক্ষে দিল্লিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বজরং দল৷ গরবা কখনও ডান্ডিয়া মতো অনুষ্ঠান হয় নবরাত্রিতে৷ এবার এই অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য জারি হল এক অদ্ভুত ফতোয়া আর তা হল অনুষ্ঠানে হিন্দু বাদে অন্যান্যদের প্রবেশ নিষেধ পাশাপাশি প্রবেশ করতে গেলে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের তরফ থেকে এমনই দাবি করা হয়েছে৷

তাঁদের দাবি এই সমস্ত অনুষ্ঠানে কিছুতেই অ হিন্দুদের প্রবেশ করতে দেওয়া চলবে না এবং তা মেনে নেওয়া যায় না তাই সকলের আধার কার্ড পরীক্ষা করে তবে গড় বাবা ডান্ডিয়া মতো অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হতে পারে৷ ইতিমধ্যেই বজরং দলের তরফ থেকে নবরাত্রির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আয়োজনকারীদের এই ব্যাপারে হুলিয়া জারি করা হয়েছে৷ চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে ভাবে গরবা ডান্ডিয়া অনুষ্ঠানে ও হিন্দুদের উপস্থিতি বেড়ে গিয়েছে তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না

আর তাই মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং অশালীন আচরণ করতে এ বছর যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে হিন্দু ছাড়া কারোরই প্রবেশ যেন অবাধ না হয়৷ এমনই দাবি বজরং দলের৷ নবরাত্রি উপলক্ষে সারা রাত ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গো বাবা ডান্ডিয়া আসর বসে আর সেখানেই হাজার হাজার মহিলারা অংশগ্রহণ করে৷ নাচে গানে মেতে ওঠে সকলেই, কিন্তু অ হিন্দুরা মহিলাদের প্রতি অশ্লীল আচরণ করে তাই যাতে শুধুমাত্র হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারে তার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বজরং দল৷ তবে শুধুমাত্র ও হিন্দু অংশগ্রহণকারী রাই নন, অ হিন্দু বাউন্সার রাখা যাবে না বলে ফতোয়া জারি করেছে বজরং দল৷

নবরাত্রি অনুষ্ঠানে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য এ বছর মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার বাওয়ার এলাকায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল বজরং দল৷ টানা দিন ধরে 32 জেলার সদস্যদের বাছাই করা হয়েছিল৷ অস্ত্র চালনা থেকে তলোয়ার চালনা বা রাইফেল চালানো, প্রশিক্ষণ চলেছে এই শিবিরেই৷


সম্পর্কিত খবর