বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, নেপালের কাঠমান্ডুতে একটি নাইট ক্লাবে রাহুল গান্ধীকে দেখা যায় এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি আইটি সেল দ্বারা রাহুলকে একের পর এক আক্রমণের তীরে বিদ্ধ করা হয়। এরপর আসরে নেমে পড়ে বিজেপি দলের একাধিক নেতা-নেত্রীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিতে থাকে তারা। তবে পরবর্তীকালে রাহুল গান্ধীর সমর্থনে কংগ্রেস দল সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা নেত্রী এবং বিদ্বজনদেরও নামতে দেখা যায়। ফলে সরগরম হয়ে ওঠে রাজনীতি। এদিন এই বিতর্কের আঁচ আরও বাড়িয়ে তুললেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
রাহুল গান্ধীর নাইট ক্লাব প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্র সরকারকে একহাত নেন অধীর বাবু। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি বিমান রয়েছে, যেখানে একটি সুইমিং পুল পর্যন্ত আছে। সেই সুইমিং পুলে স্নান করতে করতে তিনি বিদেশ যাত্রা করেন।” গতকাল থেকেই রাহুল গান্ধীর সমর্থনে নামতে দেখা যায় কংগ্রেস দলের একাধিক নেতৃত্বকে। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিনও এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করেন। এর পরেই এ দিন সামনে এলো অধীর চৌধুরীর চাঞ্চল্যকর দাবি।
এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্র সরকার রাহুল গান্ধীকে বর্তমানে ভয় পেয়েছে আর সেই কারণেই তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ করে চলেছে তারা।” এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি 13 হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্লেন কিনেছেন। এই প্লেনের মধ্যে একটি সুইমিং পুল রয়েছে আর সেখানে স্নান করতে করতেই তিনি বিদেশ যাত্রা করেন। বিদেশে বক্তৃতা দিয়ে আবার দেশে সেভাবেই ফিরে আসেন তিনি আর সবচেয়ে বড় কথা হলো রাহুল গান্ধী নেপালে এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নিজের টাকা খরচ করে গিয়েছিলেন, মানুষের নয়।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে বিজেপি দলের কাছে রাহুল গান্ধী যে সকল প্রশ্ন করে চলেছে, তার কোনো সদুত্তর নেই তাদের কাছে। আর সেই কারণেই আমাদের নেতাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি।”
গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর একটি নাইট ক্লাবে রাহুলকে দেখা গেলে সেই নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিজেপি এবং এরপর থেকেই ক্রমশ বিতর্ক দানা বাধতে শুরু করে। অবশ্য পরে জানা যায় যে, সুমনিমা উদাস নামের এক বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে কাঠমান্ডুতে হাজির হন রাহুল। তাঁর সেই বান্ধবী এক কালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ বহুকাল সাংবাদিকতায় যুক্ত থেকে তিনি একাধিক সফলতা অর্জন করেন। পরবর্তীতে 2014 সালের লোকসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েই কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর এবং এরপরে বন্ধুত্ব বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে সেই বন্ধুর আমন্ত্রণেই নেপাল সফরে উড়ে যান রাহুল।