বাংলাহান্ট ডেস্ক: এ বছরটা বড়ই খারাপ কাটছে আমির খানের (Aamir Khan)। প্রথমে বিগ বাজেট ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’ ফ্লপ হল। এখন আবার তাঁর একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আমির এবং কিয়ারা আডবানী (Kiara Advani) অভিনীত একটি ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মে আঘাত হানার অভিযোগ এনেছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)।
বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি একটি ব্যাঙ্কের। সেখানে নব বিবাহিত জুটি রূপে দেখা গিয়েছে আমির কিয়ারাকে। বিদায় পর্ব শেষে গাড়ি করে ফেরার সময়ে তাঁরা একে অপরকে বলছেন, বিদায়ের সময়ে কেউই কাঁদেনি। এরপরেই বোঝা যায় বিজ্ঞাপনটি কেন আলাদা এবং সেই সঙ্গে বিতর্কিত।
আসলে এখানে সমাজের প্রচলিত নিয়মটাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজ্ঞাপন নির্মাতারা। হিন্দু বিবাহ রীতিতে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, বিয়ের পর মেয়েদের তার স্বামীর বাড়িতে এসে থাকতে হয়। কিন্তু এখানে দেখা গিয়েছে উলটো দৃশ্য। কিয়ারার অসুস্থ বাবাকে দেখভালের সাহায্যর জন্য আমির এসে উঠেছেন তাঁর স্ত্রীর বাড়িতে।
বিজ্ঞাপনের শেষে আমিরকে বলতে শোনা যায়, বছরের পর বছর ধরে যে নিয়ম চলে আসছে তা মানতেই হবে এমন কোনো মানে আছে? তাই প্রত্যেক ব্যাঙ্কিং ট্র্যাডিশনকে প্রশ্ন করা উচিত। যাতে গ্রাহকরা সঠিক সেবা পায়। এতেই ক্ষেপেছেন দর্শকরা। হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে গিয়ে মানুষের ধর্মাবেগে আঘাত দিয়েছে আমিরের বিজ্ঞাপন, এমনি অভিযোগে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিবেকও।
বিজ্ঞাপনটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পারিনা ব্যাঙ্ক কবে থেকে সামাজিক এবং ধার্মিক রীতি বদলানোর দায়িত্ব নিল? আমার মনে হয়, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাঙ্কিং সিস্টেম বদলানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ওদের। এসব ফালতু কথাবার্তা বলবে আর তারপর বলবে হিন্দুরা ট্রোল করে। বোকার দল!’
I just fail to understand since when Banks have become responsible for changing social & religious traditions? I think @aubankindia should do activism by changing corrupt banking system.
Aisi bakwaas karte hain fir kehte hain Hindus are trolling. Idiots.https://t.co/cJsNFgchiY— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) October 10, 2022
বিয়ের পর কনেকেই বরের বাড়ি বা শ্বশুরবাড়ি যেতে হবে। এই রীতিকে বদলানোর সাহস হয় কীকরে? ক্ষোবে ফুঁসছেন নেটনাগরিকদের একাংশ। এই ‘অপরাধ’এর জন্য অনেকে নাকি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কটির থেকে অ্যাকাউন্টও সরিয়ে নিচ্ছেন। নেটমাধ্যমে বিজ্ঞাপন তথা ব্যাঙ্কটিকে বয়কটের দাবি উঠেছে। তবে শোরগোল শুরু হলেও আমির, কিয়ারা বা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।