বাংলাহান্ট ডেস্ক : আম আদমি পার্টির (AAP) সঙ্গে বিজেপির (BJP) সংঘাত চলছেই। সোমবার দিল্লি বিধানসভায় লেফট্যানান্ট গভর্নর (LG of Delhi) ভিকে সাক্সেনার উপর দুর্নীতির অভিযোগ আনল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আপ। আপ-র দাবি ভিকে সাক্সেনা যখন খাদি গ্রামোদ্যোগ নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন তিনি একাধিক দুর্নীতি করেছিলেন। এর জবাবে বিজেপি পাল্টা আবগারি নীতি এবং শিক্ষানীতিতে দিল্লি সরকারকে অভিযুক্ত করে। আপ-এর বিরুদ্ধে উঠে আসছে ৩২৬ কোটি টাকার দুর্নীতি।
সোমবার দিল্লি বিধানসভায় আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক এলজির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন ভিকে সাক্সেনা খাদি গ্রামোদ্যোগ নিগমের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। আপ-এর দাবি এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হোক। এরই সঙ্গে ভিকে সাক্সেনার পদত্যাগও দাবি করেন তাঁরা। এদিকে বিজেপি বিধায়করা বলতে শুরু করেন আপ-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে চাপা দিতেই তারা এই সব অবান্তর অভিযোগ নিয়ে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথম দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের প্রস্তাব রাখেন। তারপরই দুর্গেশ পাঠক সরাসরি এলজিকে অভিযুক্ত করেন।
আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক বলেন, ‘এই পুরো দুর্নীতি হয়েছে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর নোটবন্দী ঘোষণার পরই। আমি সকলকে জানাতে চাই, তৎকালীন খাদি নিগমের দুই কোষাধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার এবং প্রতীক যাদব এই দুর্নীতির কথা প্রথম সামনে আনেন। তদন্ত কমিটির সামনে তাঁর লিখিত স্বীকারোক্তি দেন কিভাবে চেয়ারম্যন সাক্সেনার চাপে পরে দুর্নীতিতে তাঁদের অংশ নিতে হয়। সঞ্জীব কুমার লিখিত ভাবে জানান ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোটকে আমি গ্রহণ করতে বাধ্য হই। তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে দিল্লি থেকে বদলি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গেই তাঁকে এই দুর্নীতিতে অংশ নিতে হয়।’
দুর্গেশ পাঠক আরও জানান, ‘পুরো দেশে খাদির ৭০০০ শাখা রয়েছে। প্রত্যেকটি শাখায় যদি ২২ লক্ষ নোট বদল করা হয় তাহলে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা বদল করা হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তও সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। যারা দুর্নীতি করেছে তাদের পদোন্নতি হয়েছে।’
এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন এলজি ভিকে সাক্সেনাও। তিনি একের পর এক পরিসংখ্যান সামনে এনে দাবি করেন শিক্ষাক্ষেত্রে নজির বিহীন দুর্নীতি করেছে আপ সরকার। তিনি এই বিষয়ে দিল্লি সরকারের কাছে জবাব চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লি সরকারের আবগারি নীতিতেও বিঁধতে শুরু করে বিজেপি। বিজেপির দাবি আবগারি দফতরেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার অবৈধ ভাবে টাকার লেনদেন করেছে। দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, আপ-এর সঙ্গে বিজেপি তথা এলজি ভিকে সাক্সেনার এই বিবাদ এত সহজে মিটবে না। এখন দেখার জল আর কতদূর গড়ায়।