বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়ির বাইরে হনুমান চালিশা পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সরগরম বাণিজ্য নগরীর রাজনীতি। আর তার মাঝে এদিন নিজ বাসভবনে সেই হনুমান চালিশা পাঠ করলো 8 বছরের আরোহি রানা। উল্লেখ্য, আরোহি হলো মহারাষ্ট্রের অমরাবতী এলাকার সাংসদ নবনীত রানা এবং তাঁর বিধায়ক স্বামী রবি রানার একমাত্র কন্যা সন্তান।
এদিন অমরাবতীতে নিজ বাসভবনে হনুমান চালিশা পাঠ করে ছোট্ট আরোহি। অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সে জানায়, “আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যাতে আমার বাবা-মা খুব দ্রুত জেল হেফাজত থেকে ছাড়া পায়।” প্রসঙ্গত, এলাকার নির্দলীয় সাংসদ নবনীত রানা এবং তার স্বামী রবি রানা বর্তমানে মুম্বইয়ের একটি জেলে বন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
নবনীত এবং রবি দুজনেই গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকুরের বাড়ি ‘মাতোশ্রীর’ বাইরে বসে হনুমান চালিশা পাঠ করার ঘোষণা করেন আর এই ঘোষণার পরেই শিবসেনার একাধিক কর্মী মিলে তাদের বাড়ির সামনে ঝামেলা সৃষ্টি করে। পরবর্তীকালে পুলিশের কাছে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলে রানা দম্পতিকে মুম্বই পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। এক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত করা, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কলহ সৃষ্টি, ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট এবং একাধিক মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এসবের মাঝে এদিন হনুমান চালিশা পাঠ করে বাবা-মায়ের দ্রুত বাড়ি ফেরার প্রার্থনা করল আরোহি। প্রসঙ্গত, জেল হেফাজতে থাকাকালীন রানা দম্পতির বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে তাঁরা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে একটি চিঠি লিখে জানান, “জেলের ভিতর আমাদেরকে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি টয়লেটে যাওয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।” এরপর কেন্দ্রের তরফ থেকে তাঁদের এই অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্ধব সরকারের কাছে কারণও জানতে চাওয়া হয়। তবে এদিন আদালতে ছোট্ট আরোহির প্রার্থনার ওপর ভর করে তার বাবা-মা শেষপর্যন্ত মুক্তি পান কিনা, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।