বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার দলের ৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। আর ওই সাতজন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীকে বামেদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। হুগলির জাঙ্গিপাড়া বিধানসভা আসনে ISF-এর প্রার্থী শেখ মইনুদ্দিনকে নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকী এবং বামেদের মধ্যে বনিবনা সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ থেকে পাঁচ বছর জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন শেখ মইনুদ্দিন ওরফে বুদো। তিনি তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা বলেই পরিচিত ছিলেন। বুদো তৃণমূলে থাকাকালীন বামেরা বারবার ওনার বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ করে এসেছে। আর সেই অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ্য হল জাঙ্গিপাড়ায় সিপিএম-এর জোনাল অফিসে আগুন লাগানো, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের গাড়িতে ভাঙচুর, সিপিএম-এর কর্মীদের পেটানো।
এবার সেই বুদোই আইএসএফ-এর প্রার্থী। আর আইএসএফ হল বামেদের জোট শরিক। এই আব্বাস সিদ্দিকীর হাত ধরেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে আলিমুদ্দিন। আর জোট শরিকের কাছ থেকে এমন একটা ধাক্কা খেয়ে কার্যত ব্যাকফুটে বামেরা।
একটি দৈনিক বাংলা সংবাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বামেদের এক প্রবীণ নেতা জানান, ‘লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। নেতারা মিমাংসা করে নিচ্ছে, আর বলির পাঁঠা হচ্ছি আমরা। কাঁচের ঘরে বসে অঙ্ক কশে মিমাংসা করা নেতারা এলাকার আসল পরিস্থিতি কি সেটাই জানেন না। আমাদের উপর সবকিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” ওই নেতা বলেন, দয়া করে নাম লিখবেন না … মুখে এলো বলে দিলাম।
এলাকার বাম কর্মীরা জানান, এই প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে হবে? যে এতদিন ধরে আমাদের উপর অত্যাচার করে এসেছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে, তাঁর হয়ে ভোট ভিক্ষা করব আমরা? সরি ক্ষমা করবেন … পারব না। এক যুব বাম নেতা বলেন, মইনুদ্দিন যদি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়, তাহলে আমি তো দূরের কথা, আমার পরিবারও ভোট দেবে না।