বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর বিশ্ব দরবারে মুখ পুড়েছে ভারতের। শুধু তাই নয়, দেশের একাধিক প্রান্তে এমনকি বাংলাতেও বিক্ষোভ করছে বহু মানুষ। বর্তমানে হাওড়ার একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। এলাকায় এলাকায় 144 ধারা জারি এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আন্দোলন থামার কোনো নাম নেই আর এবার বিক্ষোভ মাঝে মুখ খুললেন আব্বাস সিদ্দিকি। সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গে ত্বহা সিদ্দিকির মন্তব্যের পর এদিন ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদাকেও মন্তব্য প্রকাশ করতে দেখা গেল। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “হিংসার রাজনীতি করলে নবী ক্ষমা করবেন না। হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করতে যাবেন না।”
বিগত তিনদিন ধরে হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি থেকে শুরু করে উলুবেড়িয়া, পাঁচলা এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর সহ একাধিক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গতকাল উত্তর 24 পরগনার অশোকনগর এবং আমডাঙা কাছারি মোড়ে দুটি সভা করেন আব্বাস সিদ্দিকি। সেখানে তিনি বলেন, নবীকে উদ্দেশ্য করে অতীতেও একাধিক খারাপ মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, নবী অন্য ধর্মের প্রতি ভালোবাসা শেখায়। তাঁর প্রতি খারাপ মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে হিংসার রাজনীতি করলে তিনি কখনও ক্ষমা করবেন না। হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না।”
প্রসঙ্গত এই ঘটনায় সকল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন ত্বহা সিদ্দিকিও। তিনি বলেন, “সম্প্রতি নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। কিন্তু এটা উচিত নয়। ইসলাম ধর্ম মানুষকে কষ্ট দেওয়া শেখায় না। আপনাদের এই বিক্ষোভের ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আপনারা বিক্ষোভ কমান।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “কিছু চ্যাংড়া ছেলে ইসলাম ধর্ম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট করে চলেছে। প্রশাসনকে আমি বলতে চাই যে, তাদেরকে গ্রেফতার করুন। এছাড়াও মোদি ও অমিত শাহের উদ্দেশ্যে আমি বলবো, আপনারা নূপুর শর্মাকে কেন এখনও গ্রেফতার করেন নি? আপনাদের এই আচরণের জন্যই বর্তমানে দেশে আন্দোলন বেড়ে চলেছে। এটা থামা প্রয়োজন।”