বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। ভোটের দিন এখনও ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যেই আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সকল রাজনৈতিক দল। পায়ের তলার জমি শক্ত করতে মরিয়া সকলে। অন্যদিকে, একেবারে বিপরীত চিত্র উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে (Islampur)। ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই চারা দিয়ে উঠছে গোষ্ঠীকোন্দল।
পঞ্চায়েতের আগেই এবার চরম হুঁশিয়ারি শোনা গেল ১১ বারের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীর (Abdul Karim Chowdhury) মুখে। তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই এদিন বড় বোমা ফাটালেন বিধায়ক। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকা কালীঘাটের দলীয় বৈঠকও বয়কট করেন তিনি। আর এবার সরাসরি হুঁশিয়ারির সুরে বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে।
ঠিক কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? এদিন আবদুল করিম বলেন, ‘পঞ্চায়েতে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। মঞ্জুর না করলে সবাই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে লড়াই করবে। কারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান, এমন মানুষও আছে।’ ঠিক এই সুরই এদিন শোনা গেল আবদুলের মুখে।
এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, সেই এলাকায় মানুষের জন্য কাজ করতে চান, দলে এমন বহু মানুষ রয়েছেন। তবে নাম পাঠানোর পরও তারা যদি কোনোক্রমে টিকিট না টিকিট না পান, তাহলে দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন তারা। ভোট মুখে বিদ্রোহী বিধায়কের এই মন্তব্য যে শাসকদলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়াবে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও বিধায়কের এই মন্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। দলের প্ৰতি প্রবল আস্থা রেখে তিনি বলেন, “বিধায়কের বা জেলা সভাপতির দল নয়, বরং দলেরই বিধায়ক বা জেলা সভাপতি হয়। সুতরাং টিকিটের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ” এখন পঞ্চায়েত ভোট ব্যাংকে এই গোষ্ঠীকোন্দল কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই দেখার।